কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের আগে দু'দিনের সফরে কলকাতায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত। বর্ষবরণ উপলক্ষে শহরে যখন উৎসবের আমেজ, সেই সময় কলকাতায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি ছিল তাঁর, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল,  অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তবলাবাদক বিক্রম ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ। বাড়িতে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন ভাগবত, যাকে ঘিরে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। (Mohan Bhagwat)


দু’দিনের সফরে শহরে এসেছেন RSS প্রধান ভাগবত। রবিবার ভিক্টর এবং বিক্রমের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। সেই মতো এদিন সকালে ভিক্টরের বাড়িতে পৌঁছন।  তার আগে ভিক্টরের সঙ্গে সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠতার কথা জানিয়ে বিশেষ বার্তাও দেন ভাগবত, তাতে ভাগবত লেখেন, 'RSS-এর হয়ে ভিক্টর অভিনেতা ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় মৃতদেহ সরানোর কাজ করেছেন। উত্তরাখণ্ডে ভূমিকম্প এলাকায় গিয়ে যোগ দিয়েছেন উদ্ধারকার্যে'। (Victor Banerjee)


RSS এবং ভাগবতের প্রশংসা করে বার্তা দেন ভিক্টরও। তাঁর কথায়, 'এই দেশের ভাষা এবং সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে তাঁদের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এই জন্যই ভারত সাংস্কৃতিক দিক থেকে এত সমৃদ্ধ এবং গোটা বিশ্বে সমাদৃত'। RSS-এর সঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠতার কথাও তুলে ধরেন ভিক্টর। তবে এই সাক্ষাতের নেপথ্যে বিশেষ কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা এখনও পর্যন্ত খোলসা করেননি দুই পক্ষের কেউই। 


আরও পড়ুন: Lok Sabha Elections 2024: তৃণমূলে অভিষেককে নিয়ে জোর গুঞ্জন, তার মধ্যেই শহরে ‘বিকল্প রাজনীতি’র পোস্টার


ভিক্টর RSS পরিবারের সংগঠন 'সংস্কার ভারতী'র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর সঙ্গে বিজেপি-র অভিভাবক সংস্থা, RSS প্রধান ভাগবতের এই সাক্ষাৎ ঘিরে তাই কৌতূহল দেখা দিয়েছে। শনিবারই কলকাতায় পৌঁছন ভাগবত।  নিউটাউনে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ওঠেন সঙ্ঘ-প্রধান। সেখান থেকে যান তপসিয়ায় অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি এবং বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবের ফ্ল্যাটে। সল্টলেকে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা এবং একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য উপেন বিশ্বাসের বাড়িতেও যান RSS প্রধান।


শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে যখন উত্তাল বাংলার রাজনীতি, সেই সময় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটান। বাগদার রঞ্জনের সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগসূত্র তুলে ধরেন তিনি। তার পর ইমেলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে তৃণমূল ছাড়েন। সেই সময় জানা যায়, মতুয়াদের প্রতিনিধি হলেও তৃণমূলে তেমন গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না উপেন। কোথাও সেভাবে ডাকা হতো না তাঁকে। তাই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল।