রঞ্জিত হালদার, শান্তনু নস্কর, ভাঙড়: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) আগে ভাঙড়ে গোষ্ঠীবিবাদের জেরে তৃণমূল নেতার (TMC lEADER) বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। বাড়ির দরজায়, ঘরের দেওয়ালে গুলির চিহ্ন মিলেছে। ঘটনাস্থলে মিলেছে একটি তাজা বোমাও। ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ফজলে করিমের অভিযোগ, গতকাল গভীর রাতে ভাঙড়ের বড়ালি গ্রামে তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে প্রায় ১২ রাউন্ড গুলি চলে। ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন তৃণমূল নেতা। তৃণমূল নেতার অভিযোগ, কয়েকদিন আগে ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি কাইজার আহমেদের অডিও ক্লিপ ভাইরাল করায়, তাঁকে খুনের চেষ্টা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিচার চেয়েছেন তৃণমূল নেতা। এ নিয়ে তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এবার তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে গুলিবৃষ্টি! ফের প্রকাশ্যে এল রাজ্যের শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কারণ, হামলার পিছনে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কাইজার আহমেদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 


ভাঙড়ের (Bhangar) প্রাণগঞ্জ অঞ্চলের তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ফজলে করিমের অভিযোগ, মঙ্গলবার গভীর রাতে হঠাৎই, বাড়ি লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। দরজা,জানলা ভেদ করে গুলি গিয়ে লাগে খাটে প্রায় ১২ রাউন্ড গুলি চলে বলে অভিযোগ তার মধ্যে দরজাতেই রয়েছে ৯টি গুলির ক্ষতচিহ্ন! দরজা ভেদ করে গুলি গিয়ে লাগে খাটে ও জানালায় যদিও কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে গেছেন তৃণমূল নেতা ও পরিবারের লোকজন। বাড়ির বাইরেই উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা কিন্তু, হামলার পিছনে কাইজার আহমেদের হাত কেন দেখছেন প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি?


সম্প্রতি কাইজারের বিরুদ্ধে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছিল। এই ভাইরাল অডিও ক্লিপের প্রেক্ষিতে, ১৮ নভেম্বর ব্লক সভাপতি কাইজারের বিরুদ্ধেই মুখ খুলেছিলেন প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি। এই মন্তব্যের কারণেই কাইজার আহমেদ তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করছেন বলে দাবি তৃণমূল নেতার। পাল্টা চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন কাইজার। তাঁর বক্তব্যেও মিলেছে দলীয় কোন্দলের ইঙ্গিত!পঞ্চায়েত ভোটের আগে তুঙ্গে তরজা


সম্প্রতি ভাঙড়েই সিপিএমের মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এর কয়েক দিনের মধ্যেই হদিশ মেলে বোমা কারখানার। আর এবার তৃণমূল নেতার বাড়িতে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধেই! যা আরও একবার প্রমাণ করে দিল, ভাঙড় আছে ভাঙড়েই!