পার্থপ্রতিম ঘোষ, ভাঙড় : ভাঙড়ে ( Bhangar ) শাসকের 'অপারেশন-মনোনয়ন'। আক্রান্ত এবিপি আনন্দ ( ABP Ananda ) । ছবি তুলতে বাধা। সাংবাদিকদের হুমকি। মনোনয়ন পর্বের পঞ্চম দিনেও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়।
দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল বিডিও অফিস চত্বর
মঙ্গলের ধুন্ধুমার কাণ্ডের পর, আজও দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল বিডিও অফিস চত্বর। সকাল ১১টায় মনোনয়ন শুরু হতে না হতেই আবার বোমার আওয়াজে কাঁপল ভাঙড় এক নম্বর বিডিও অফিস চত্বর। কোথায় ১৪৪ ধারা!
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় বিধিনিষেধকে হেলায় উড়িয়ে বাঁশ, লাঠি, গাছের ডাল হাতে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে হাজির তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। রুমালে মুখ ঢেকে ডান্ডা হাতে ISF-কে ঠান্ডা করতে রাস্তায় নেমেছেন তারা। মুখে মুখে ঘুরছে অ্যাকশনের কথা। প্রকাশ্যেই ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির পিঠের চামড়া তোলার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তাঁরা।
তৃণমূলের দখলে গোটা বিডিও অফিস চত্বর, সংবাদ মাধ্যমকে কাজে বাধা
সকাল থেকেই কার্যত তৃণমূলের দখলে গোটা বিডিও অফিস চত্বর। নেতৃত্বে রয়েছেন শাসক দলের দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল। মুক্তাঞ্চল ভাঙড়ে সংবাদ মাধ্যমকে কাজে বাধা। ছবি তুলতে দেওয়া হচ্ছে না চিত্র সাংবাদিককে। সকাল থেকে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকলেও, অশান্তির সময় তল্লাটে কোনও পুলিশকর্মীর দেখা নেই।
মঙ্গলবার তুলকালাম কাণ্ডের পর, বুধবার তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়নে সুরক্ষা ঢালের ভূমিকা নিয়েছেন স্বয়ং আরাবুল ইসলাম। সকাল ১১টা থেকে মনোনয়ন পর্ব শুরু হয়। তার প্রায় আড়াই ঘণ্টা আগেই ভাঙড় ২ নম্বর ব্লক অফিসে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে হাজির হয়ে যান তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলাম। বিডিও অফিস চত্বরে মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ।
সকাল সাড়ে ৮টা-৯টার মধ্যেই এদিন ব্লক অফিসে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে পৌঁছে যান আরাবুল ইসলাম। গতকালের অশান্তির যাবতীয় দায়ভার ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির কোর্টেই ঠেলেছেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা। নৌশাদের গ্রেফতারিও দাবি করেছেন আরাবুল। মনোনয়ন দিতে আসা তৃণমূল প্রার্থীরা বলছেন, ISF যাতে তাঁদের মনোনয়নে বাধা দিতে না পারে, সেকারণেই আগেভাগে ব্লক অফিসে হাজির হয়েছেন তাঁরা।
মঙ্গলবারও পুলিশের সামনেই মুড়ি-মুড়কির মতো পডে বোমা। গুলি চলে বলেও অভিযোগ। মনোনয়নের চতুর্থ দিনে ভাঙড়জুড়ে শুধুই ভয়ের ছবি ছিল! তারই মধ্যে নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে এলাকায় আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এক আইএসএফ প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও দাবি। আহত হন একাধিক আইএসএফ কর্মী। রক্ত ঝরে পুলিশেরও। তারপরদিনও একই রকম উত্তাপ ভাঙড়জুড়ে।