অনির্বাণ বিশ্বাস এবং আবির দত্ত, কলকাতা: বাড়ির একটি দরজা বন্ধ থাকলেও আরেকটি দরজা খোলা। ঘরে চলছে টিভি। এদিক সেদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে খাবার। এক নজরে দেখলে বোঝার উপায় নেই এই ঘরেই খুন হয়েছেন গুজরাতি দম্পতি! যদিও পুলিশ সূত্র জানায়, হরিশ মুখার্জি রোডে জোড়া খুনের ঘটনা ভাল করে খতিয়ে দেখলে বোঝা যাচ্ছে রীতিমতো ধস্তাধস্তি চলেছে ওই ফ্ল্যাটে। 


ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে গুজরাতি দম্পতি খুনে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। পুলিশ জানিয়েছে নিহত অশোক শাহ (৫৬)-এর দেহ যখন উদ্ধার করা হয় সেই সময় তিনি ছিলেন খালি গায়ে। পরনে ছিল একটি হাফ প্যান্ট। শরীরে একটি বড় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যা থেকে গুলি করে খুন করেই খুন বলে মনে করছে পুলিশ। তবে অশোক এবং স্ত্রী রশ্মিতা শাহের (৫২) শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাতও রয়েছে বলে জানান হয়েছে।  


পুলিশ সূত্রে খবর, ছোট মেয়ে কাজের সূত্রে আগেই বাইরে বেরিয়েছিলেন। বাড়িতে একা ছিলেন বয়স্ক দম্পতি। পুলিশ সূত্রে খবর, আরেক মেয়ে বারবার ফোন করেও দুপুর থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। সন্দেহ হওয়ায় সন্ধে ৬টা নাগাদ বাবার ফ্যাটে চলে আসেন তিনি। সদর দরজা খোলা দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। পুলিশ সূত্রে খবর, দরজা ঠেলতেই ভিতরে স্মিতা শাহের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন মেয়ে। ভিতরে বেডরুমের সামনে পড়েছিল অশোক শাহের মৃতদেহ।                    


আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে গুজরাতি দম্পতির রহস্য মৃত্যু, ফ্ল্যাটে রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার! শহরের বুকে ভয়াবহ ঘটনা


যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে তা যথেষ্ট জনবহুল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে অনতিদূরেই। ভবানীপুর থানা থেকেও দূরত্ব কয়েক মিনিটের। সেখানে এমন ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। বিকেল থেকে সন্ধের মধ্যে খুন বলে সন্দেহ পুলিশের। জানান হয়েছে, ‘দরজা খোলা, ফ্ল্যাটের ভিতরে পড়ে ছিল দম্পতির রক্তাক্ত মৃতদেহ। ফ্ল্যাটের মধ্যে আলমারির দরজা খোলা। এমনকী রশ্মিতা শাহের হাতের বালা ও আংটিও নেই। ফলে লুঠে বাধা, তাই দম্পতিকে খুন, এমনটাই প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ।