আবীর দত্ত, অনির্বাণ বিশ্বাস, সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: সোমবার রাতে খাস কলকাতায় জোড়া খুন। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতা পুরসভা মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তিনি জানিয়েছেন, ক্রাইম করে বাংলা থেকে কেউ ছাড় পায় না। এখন তদন্ত হবে। ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া হবে। জডগ স্কোয়াড ইত্যাদি নিয়ে তদন্ত চলবে। আমি যা শুনলাম মনে হচ্ছে গুলি করে খুন। যতক্ষণ না ময়নাতদন্ত হচ্ছে কিছু বলা যাবে না। 


১৪ নং কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় (Kajari Banerjee) জানিয়েছেন, 'মহিলার পেটে ক্ষত ছিল। ভদ্রলোক পাশ ফিরে শুয়ে ছিলেন, আমি দেখিনি। কোনও রক্তের চিহ্ন ছিল না। বই খাবারের প্লেট এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। টিভি চলছিল। দু-ঘরে দুটো পাখাও চলছিল। ধস্তাধস্তির চিহ্ন ছিল। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে মহিলার হাতের আংটি এবং বালা মিসিং। 


ভবানীপুরে (Bhowanipore Murder) মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) বাড়ির অদূরে গুজরাতি দম্পতি খুন। হরিশ মুখার্জি রোড লাগোয়া ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার। লুঠের জন্য খুন? নাকি নেপথ্যে রয়েছে পুরনো কোনও শত্রুতা? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খাস কলকাতায় হাড় হিম করা হত্যাকাণ্ড! ভবানীপুরের ফ্ল্যাটে খুন হলেন গুজরাতি দম্পতি। মিত্র ইনস্টিটিউশন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে, হরিশ মুখার্জি রোডের এই ফ্ল্যাটে থাকতেন ৫৬ বছর বয়সী অশোক শাহ এবং তাঁর স্ত্রী স্মিতা শাহ। সোমবার রাতে ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, গুলি চালিয়ে খুন করা হয়েছে দম্পতিকে। 


তদন্তকারীদের দাবি, ঘরে টিভি চলছিল। ফ্যান ঘুরছিল। আলমারি খোলা ছিল। বেশ কিছু গয়নাও উধাও বলে অভিযোগ। ঠিক একই দাবী করেছেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ও।  পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহে ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তাহলে কি লুঠের উদ্দেশ্যে খুন? বাড়িতে ঢুকে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটাল কারা? কে খুন করল? কীভাবে খুন করল? খুনের উদ্দেশ্য কী? এইসব প্রশ্ন ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য।