কলকাতা: বাংলার নববর্ষেই নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে (Recruitment Scam) চলল সিবিআইয়ের ম্যারাথন তল্লাশি (CBI Raid)। আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পরই নতুন দল ঘোষণা বিভাস অধিকারীর (Bibhash Adhikari)। 


সর্বভারতীয় আর্য মহাসভা নামে নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা। শাসকদলের (TMC) সঙ্গে যোগ নেই বলেও দাবি তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতির।'তৃণমূলে থাকলে কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরের পদে থাকতাম?', প্রশ্ন তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর। প্রসঙ্গত, বাংলার নববর্ষেই নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) সিবিআইয়ের ম্যারাথন অভিযান (CBI Raid)। বড়ঞায় ৩০ ঘণ্টা ধরে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই।


সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়কের পুকুর লাগোয়া জঙ্গলে নিয়োগ দুর্নীতির নথি ভর্তি ৫টি ব্যাগের হদিশ মিলেছে।বড়ঞায় জোড়া মোবাইলের খোঁজে বিধায়কের পুকুরে চিরুণি তল্লাশি চালায় সিবিআই। বিধায়কের মোবাইল ফোনেই কি লুকিয়ে নিয়োগ দুর্নীতির খনি? প্রশ্ন উঠতেই বাড়ছে সন্দেহ। বীরভূম-কলকাতায় তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতির বাড়ি-আশ্রমেও চালানো হয় তল্লাশি। শিয়ালদা, নলহাটিতে বিভাস অধিকারীর বাড়ি-ফ্ল্যাট-আশ্রম-কলেজেও চলেছে অভিযান। ভূপতিনগরে গোপাল দলপতির গ্রামের বাড়িতে চলে সিবিআই তল্লাশি। হরিদেবপুরে গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তীর ফ্ল্যাটেও এদিন চলে সিবিআই অভিযান।  


অপরদিকে, পয়লাবৈশাখের (Pohela Baishakh) আনন্দে মেতেছে যখন গোটা বাংলা, ঠিক তখনই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে হৈমন্তীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাল সিবিআই (CBI)। গোপাল দলপতির ভূপতিনগরের বাড়ির পরে এদিন, গোপালের প্রাক্তন স্ত্রী হৈমন্তীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাল সিবিআই। গোপালের প্রাক্তন স্ত্রী হৈমন্তীর ফ্ল্যাট রয়েছে হরিদেবপুরে। আর নববর্ষের দিনে সেখানেই তল্লাশি অভিযান সিবিআই-র। ২৬ ঘণ্টা ধরে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই অভিযান চালানো হয়েছে। বীরভূম-কলকাতায় তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতির বাড়ি-আশ্রমে তল্লাশি চলেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে গোপাল দলপতির গ্রামের বাড়িতেও সিবিআইয়ের অভিযান। বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতেও ম্যারাথন তল্লাশি সিবিআইয়ের। 


আরও পড়ুন, 'অন্তত ১০০ তৃণমূল বিধায়ক নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্ট', বিস্ফোরক শুভেন্দু 


নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে এদিন বিস্ফোরক দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু এদিন বলেন, 'অন্তত ১০০ তৃণমূল বিধায়ক নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্ট। ১০০ জন বিধায়ক চাকরিপ্রতি ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা করে তুলেছেন। আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ১০০-য় নামতে পারে। অন্তত ১০০জন তৃণমূল বিধায়ক এজেন্ট, কয়েকজন ২০১৬-তে টিকিট পাননি। চাকরিপ্রতি ৮-১০ লক্ষ টাকা পাঠাতে হয়েছে কলকাতায়।'