জয়ন্ত পাল, বিধাননগর : বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রির নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। কেষ্টপুরের কল সেন্টার (Keshtopur) থেকে গ্রেফতার (Arrest) পাঁচ। বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে । মূল অভিযুক্ত রাজ শেখর নিয়োগের বিরুদ্ধে একাধিক অবৈধ কল সেন্টার চালানোর অভিযোগ রয়েছে ।
বিধাননগর কমিশনারেটজুড়ে চলছে অবৈধ কল সেন্টারের ব্যবসা। এর পিছনে পুলিশের একাংশের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ। গতকাল বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ অভিযান চালায় কেষ্টপুর রবীন্দ্রপল্লির একটি ভুয়ো কল সেন্টারে। সেখান থেকে ২২ জনকে আটক করা হয়। প্রত্যেককে আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসা করার পর পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ।
অভিযোগ, এই কল সেন্টার থেকে কসমেটিক্সের বিভিন্ন প্রোডাক্ট, ইমিউনিটি প্রোডাক্ট, সাজ সরঞ্জামের জিনিসপত্র বিক্রি করার নামে ফোন করে ক্রেতাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হত। অ্যাকাউন্টে টাকা নেওয়ার পর পরে তা আত্মসাৎ করা হত। টাকার বিনিময়ে সামগ্রী না পেয়ে একাধিকবার থানায় অভিযোগও হয়েছিল ভুক্তভোগীদর তরফে। কিন্তু, গ্রেপ্তার হয়নি কেউ।
বিধাননগর গোয়েন্দা শাখায় অভিযোগ দায়ের হলে, তদন্তে নেমে পুলিশ গতকাল রাতে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ব্যাঙ্কের পাসবুক, চেকবুক, ৩০টি মোবাইল ফোন, রেজিস্টার বুক , ল্যাপটপ, ডেক্সটপ ও হার্ডডিস্ক।
আরও পড়ুন ; সল্টলেকে স্পা ব্যবসার আড়ালে মধুচক্র! চাকরি করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার তরুণী
এদিকে রাজ শেখর নিয়োগের বিরুদ্ধে একাধিক অবৈধ কল সেন্টার চালানোর অভিযোগ রয়েছে সাইবার পুলিশের হাতে। তাকে বিধাননগর গোয়েন্দা শাখা গ্রেফতারের পর নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করবে যে এই প্রতারণার টাকা কোথায় কাজে লাগানো হত। এর সঙ্গে আর কারা কারা জড়িয়ে আছে। আর কোথায় কোথায় অবৈধ কল সেন্টার চালানো হচ্ছে।
এদিকে স্পায়ের আড়ালে শহরের প্রযুক্তি গর্ভে মধুচক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছে (Allegation of Racket)! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন এক তরুণী। সল্টলেকে (Kolkata News) চাকরি করতে এসে যৌন হেনস্থা শিকার (Woman Alleges Assault) হন বলে অভিযোগ। তাঁর দাবি, বিষয়টি নিয়ে থানায় গেলেও, তাঁর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বিধাননগর পুলিশ। সল্টলেকের (Salt Lake News) এফ ডি ব্লক-এর ঘটনা।
অভিযোগকারিণী তরুণী জানিয়েছেন, মার্চ মাসে এই স্পা সংস্থার মালিক তাঁকে ম্যানেজার হিসাবে নিযুক্ত করেন। তাঁকে সল্টলেকের বি ই এবং এফ ডি ব্লকের দু’টি স্পা ঘুরিয়ে দেখান। তিনি কাজে নিযুক্ত হওয়ার পর দু’জন গ্রাহক আসেন। সরাসরি তাঁর সঙ্গে কথা বলেন দু’জন। জানতে চান তাঁর কত রেট।