সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: এসএসসি-র গ্রুপ D পদে যে ৯৮ জনের নিয়োগ (SSC Group D Recruitment) নিয়ে বিতর্ক, তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। একই সঙ্গে, বিতর্কিত নিয়োগ মামলায় সিবিআই (CBI)-কে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, এই ৯৮ জন গ্রুপ ডি কর্মী হিসেবে কাজ করতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট জেলা স্কুলের পরিদর্শকদের এই নির্দেশ পালন সুনিশ্চিত করতে হবে।
শুক্রবার, এসএসসি মামলায় সিবিআই-কে যুক্ত করল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হা ও প্রোগ্রাম অফিসার যে সাক্ষ্য এবং নথি দিয়েছেন তা সিবিআই-কে দেওয়া হবে। এছাড়াও ২০১৯-র ১ নভেম্বর শিক্ষা দফতর এসএসসি-র পাঁচসদস্যের যে বিশেষ কমিটি তৈরি করেছিল তাঁদেরকেও এই মামলায় পার্টি করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। শিক্ষা দফতরের সচিব শান্তিপ্রসাদ সিনহা ছাড়া বাকিদের ঠিকানা সিবিআই-কে দিতে হবে।
প্রয়োজনে শান্তিপ্রসাদকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ
আজকের মধ্যেই বাকি চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করতে সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। যে বা যাঁরা আসবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজনে শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই। সিবিআই যদি এই পাঁচজনের বাইরে অন্য কোন ব্যক্তি, সে তিনি যে পর্যায়ের রাজনীতিবিদ হন না কেন, তাকেও ডাকতে পারে তারা। সোমবারের মধ্যে সিবিআই এবং শিক্ষা দপ্তরের সচিব রিপোর্ট পেশ করবেন।
আদালত জানিয়েছে, ওই ৯৮ জন গ্রুপ ডি কর্মী হিসাবে প্রবেশ করতে পারবেন না। সংশ্লিষ্ট জেলা স্কুল পরিদর্শকরা কর্মী সংক্রান্ত আদালতের নির্দেশ পালন সুনিশ্চিত করবেন। প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং প্রোগ্রাম অফিসার আদালতের সামনে যে সাক্ষ্য এবং নথি দিয়েছিলেন তাও অবিলম্বে সিবিআই-কে দিয়ে দেবে আদালত। সিবিআই যদি এই পাঁচজনের বাইরে অন্য কোন ব্যক্তি, সে তিনি যে পর্যায়ের রাজনীতিবিদ হন না কেন, তাকেও ডাকতে পারে সিবিআই।
রাত আড়ইটে পর্যন্ত শান্তিপ্রসাদকে জিজ্ঞাসাবাদ গোয়েন্দাদের
আদালতে শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটে পর্যন্ত শান্তিপ্রসাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রাত সাড়ে ৭টার সময় তিনি জানতে পারেন যে, তাঁকে সিবিআই এর কাছে হাজিরা দিতে হবে। রাত ৯ টার সময় তাঁর আইনজীবীরা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে যান। রাত ১০টা বেজে ৪৫ নাগাদ প্রধান বিচারপতি মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। এর পর ১১টা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ তাঁরা সেই নির্দেশ হাতে পান। এই গোটা প্রক্রিয়া করতে কিছুটা সময় লেগেছে। তাই শান্তিপ্রসাদ শেষ মুহূর্তে নিজাম প্যালসে যান।
যদিও আদালতে পেশ করা সিবিআই-এর রিপোর্টে দেখা গিয়েছে যে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় শান্তিপ্রসাদ জানিয়েছেন, তিনি দুপুর ২টোর সময় তিনি এই নির্দেশ জানতে পেরেছিলেন।