অর্ণব মুখোপাধ্যায়, সত্যজিৎ বৈদ্য, রঞ্জিৎ সাউ, কলকাতা: সকালে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। সন্ধেয় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ভোটের আগে শেষ রবিবারের প্রচার ঘিরে সরগরম বিধাননগর (Bidhannagar)। দিনভর চলল বাগ্‍‍যুদ্ধ।


১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর-সহ (Bidhanngar) ৪ পুরসভার ভোট। সেই ভোটের আগে শেষ রবিবার হাইভোল্টেজ প্রচার। সকালে ফিরহাদ হাকিম আর সন্ধেয় শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী প্রচার ঘিরে দিনভর সরগরম রইল বিধাননগর। 


কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality) ও পরিবহণ মন্ত্রী, মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) কথায়, বিজেপি (BJP) এখানে প্রচারে আসতেই পারে। আসুক, সল্টলেক ঘুরে দেখুক, বাড়ি চলে যাক। কোনও লাভ হবে না।  


বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কথায়, ববি হাকিম (Bobi Hakim) যত এখানে প্রচারে আসবেন, তত বিজেপির ভোট বাড়বে। এখানে মেটিয়াবুরুজ/খিদিরপুর করতে পারবে না।


বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরা বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সব্যসাচী দত্তর সমর্থনে বিএফ ব্লকের ফুটবল মাঠে সকালে প্রচার করেন কলকাতা পুরসভার মেয়র।  সন্ধেয় বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস জানার সমর্থনে প্রচার করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 


ফিরহাদ হাকিমের কথায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকাকালীন আমরা ২১৩টা আসন জিতেছি। উপনির্বাচন গুলোতে এক লক্ষের ওপরে ভোটে প্রতিটা আসন জিতেছি। শুভেন্দুর মুখ পুড়েছে।


এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি, ভোট লুঠ হলে সিসিটিভি থাকবে। মানুষ দেখবে লুটেরাদের ছবি। আমরা চিংড়িঘাটায় অক্সিলিয়ারি কমিটি হিসেবে থাকব। ভোট লুঠ হলেই ইএম বাইপাস অবরোধ করব।


যদিও  ফিরহাদ হাকিম বলছেন, তৃণমূল গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং সংঘবদ্ধ ডিসিপ্লিনড দল। বিশ্বাস করি সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। যখন ডাকি তখন পাই এটাই একজন কাউন্সিলারের ট্যাগ লাইন। এরকম হলে তাকে কেউ হারাতে পারবে না।


রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর কথায়, তালমিছরি খেয়েছে একটু হজম করুক। তৃণমূল সঠিক সময়ে কর্পোরেশন ও পৌরসভার নির্বাচন করতে দেয়নি। মানুষকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল।  নিজেদের অভ্যন্তরীণ ঝামেলা চাপা দিতে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে মানুষকে দূরে রেখেছিল।


বিধাননগর পুরভোটের আগে শেষ রবিবার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী উমা শঙ্কর ঘোষ দস্তিদারের সমর্থনে প্রচার করেন জাদুকর পি সি সরকার জুনিয়র। 


অন্যদিকে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী অরিন্দম দাসের সমর্থনে বৈশাখী এলাকায় বিভিন্ন আবাসনে প্রচার সারেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।