আশাবুল হোসেন , কলকাতা : তৃণমূলের রাজ্যস্তরের সাংগঠনিক বৈঠকের দিনই রাজ্য মন্ত্রিসভার দফতরের রদবদল হল । পরিবহণের পাশাপাশি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব গেল ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) তে। ফলে মন্ত্রিসভায় বাড়তি দায়িত্ব পেলেন ফিরহাদ । চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে (Chandrima Bhattacharya) করা হল অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ।
আজ নজরুল মঞ্চে রাজ্যস্তরের বৈঠকে বসছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে জাতীয় স্তরে সাংগঠনিক রদবদল সেরে ফেলেছে তৃণমূল। তৈরি হয়েছে নতুন ওয়ার্কিং কমিটি। এবার রাজ্য স্তরে কিছু জায়গায় রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে শাসক দল সূত্রে খবর। ছাত্র সংগঠনে রদবদল হতে পারে। কিছু জেলায় সভাপতি পদেও রদবদলের সম্ভাবনা। রাজ্য সভাপতি বা মহাসচিব পদেও কি রদবদল হবে? এই জল্পনা ঘুরছে তৃণমূলের অন্দরে। বৈঠকে থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে যোগ দেবেন তৃণমূলে, খবর সূত্রের । দল থেকে তাঁকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে, জানিয়ে দিল বিজেপি । সোমবার, বিদ্রোহী বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এবং সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে দেখা যায়, দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে। এরপরই মঙ্গলবার, নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে শাসক শিবিরে যোগ দিতে যান জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর যোগদান-জল্পনা নিয়ে কটাক্ষ সুর শোনা যায় রাজ্য বিজেপির সভাপতির গলায়। জয়প্রকাশ মজুমদারের তৃণমূলের যোগদান নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "ওঁকে দল সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করেছিল। এই দলে তো ছিলেন না। তাই এরপর কোন দলে যাবেন সেটা একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। মানুষকে কেউ ধরে রাখতে পারে না। এর আগে তো কংগ্রেস করেছিলেন। তারপর বিজেপিতে এসেছিলেন। আবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে গেলেন। এটা নতুন কোনও বড় ব্যাপার নয়। এরপর আরও কোনও দল পরিবর্তন করবেন।