কলকাতা :  কখনও ‘মাথা’র খোঁজ! কখনও ‘ধেড়ে ইঁদুর’ ধরা পড়ার হুঁশিয়ারি! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য শোনা গিয়েছে। এবার হুবহু সেই শব্দবন্ধগুলিই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের ট্যুইটে । ঝাঁঝাঁল ট্যুইটে কুণাল ঘোষ লিখলেন, 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলুক। অপরাধীরা শাস্তি পাক। যদি কেউ সব জানেন, 'মাথা' চেনেন, 'ধেড়ে ইঁদুর' জানেন বলে ভাব দেখিয়ে প্রচার চান, তাঁকে অবিলম্বে সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তদন্তে ডেকে পাঠানো হোক। যিনি সব জানেন, তিনি শুধু সংলাপ দিয়ে মেগাসিরিয়াল চালাবেন কেন? আসুন তদন্তে।' 


এই ট্যুইট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কুণাল এবিপি আনন্দকে বলেন, 'যদি কেউ সব জানেন, 'মাথা' চেনেন, 'ধেড়ে ইঁদুর' জানেন বলে ভাব দেখিয়ে প্রচার চান, তাঁকে অবিলম্বে সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তদন্তে ডেকে পাঠানো হোক ' 

আরও দেখুন : 


'কেউ যদি নিজেকে অরণ্যদেব ভেবে নেন, সেটা দুর্ভাগ্যজনক', কুণালের নিশানায় কে?


কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি সরাসরি বলে দেন, 'অত্যন্ত নিম্নরুচির রাজনৈতিক কর্মী বা নেতা  না হলে কেউ এভাবে বিচারপতি বা বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ করেন না।'


তিনি আরও বলেন, ' ' কুণাল ঘোষরা আসলে নিজেদের দোষী হিসেবে চিহ্নিত করে ফেলেছেন। বিচারপতি কিন্তু একবারও বলেননি তিনি ধেড়ে ইঁদুর বা মাথা কে। কুণাল ঘোষরা মনে করছেন তাঁরাই অপরাধী, তাঁরাই মাথা, যেহেতু গোটা দুর্নীতির প্রক্রিয়াটি তাঁরাই চালিয়েছেন।' 


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সিপিএম নেতা ও বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এসএসসি মামলায় চাকরীপ্রার্থীদের হয়ে মামলা লড়ছেন। 


এর আগে বিচারপতিকে নিয়ে বিভিন্ন সময় কুণাল ঘোষ বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। 'বিচারব্যবস্থার প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। বিচারব্যবস্থা ঠিক আছে বলেই সমাজ দাঁড়িয়ে আছে। বিচারপতিরা নির্দেশ দিলে মানুষ মাথা পেতে নেয়। গোটা বিচারব্যবস্থাই ন্যায়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ যদি নিজেকে অরণ্যদেব ভেবে নেন, সেটা দুর্ভাগ্যজনক। সরকারের ভুল হলে নিশ্চয় বলবেন। কিন্তু তার জন্য একটা দল তুলে দিতে বলবেন! কেউ যদি বলেন আমার দল তুলে দেবেন, আমি কি তাঁকে রসগোল্লা খাওয়াব?’ সম্প্রতি এই মন্তব্য করেন কুণাল।