কলকাতা : কার বা কাদের নির্দেশে অযোগ্যদের চাকরির জন্য আবেদন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন, খুঁজে বের করতে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর আদালতের যে নির্দেশের পরই ফের একবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ফের একবার রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিরোধীরা।
আইনজীবী তথা সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের অভিযোগ, 'সরকারের উচ্চপর্যায়ের কারোর পরামর্শ ছাড়া এভাবে আবেদন সম্ভব নয়। কারা বা কাদের নির্দেশে এমন আবেদন সেটা খুঁজে বের করতেই তদন্তের নির্দেশ।' এদিকে, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, 'তদন্ত এগোলে গোটা নিয়োগ দুর্নীতির মাথাদের কাছে পৌঁছে যেতে বেশি সময় লাগবে না।'
নিশানা বিরোধীদের
সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের কথায়, সরকারের উচ্চপর্যায়ের পরামর্শ ছাড়া এভাবে আবেদন সম্ভব নয়। প্রথমে আবেদন করা হয়, পরে আবার তা প্রত্যাহারও করে নেওয়া হয়। তাই কার বা কাদের পরামর্শ বা নির্দেশে এমন আবেদন সেটা জানতেই তদন্তের নির্দেশ। পাশাপাশি বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার বক্তব্য, আদালতের এই রায় আপাতভাবে খুব হালকা লাগলেও এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই তদন্ত এগোলে গোটা নিয়োগ দুর্নীতির মাথা যাঁরা, তাঁদের কাছে পোঁছে যেতে বেশি সময় লাগবে না। আসলে দুর্নীতির মাথা কারা, সে সম্পর্কে জনসাধারণের আগাম একটা কল্পনা রয়েছেই, সেটা ক্রমশ সামনে আসবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে সংগঠিত দুর্নীতি হয়েছে, সেটার মূলোচ্ছেদ করার রাস্তা করে দিয়েছে আদালত।
নেপথ্যে কার মস্তিষ্ক? সিবিআই তদন্তের নির্দেশ
আবেদনের উৎস কে? খুঁজে বের করতে বলে আজ থেকেই সিবিআইকে তদন্ত শুরুর নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ‘এটা একটা সংগঠিত অপরাধ, যোগ্যরা রাস্তায় ঘুরছে, অযোগ্যদের নিয়োগ’, তদন্ত করে সিবিআইকে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ। ‘কমিশনের নামে আবেদন হলেও, এটা কমিশনের করা নয়, কেউ করিয়েছে, শূন্যপদে অবৈধদের চাকরির জন্য আবেদন, এটা বেনামি আবেদন’। নিয়োগ মামলায় প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানালেন বিচারপতি। কাল সকাল সাড়ে ১০টায় স্কুল শিক্ষা সচিবকে হাইকোর্টে হাজিরার নির্দেশ। ‘শিক্ষামন্ত্রী যদি আদালতে আসতে চান, তাহলে স্বাগত’, কোনও দালাল আসতে চাইলেও, স্বাগত, মন্তব্য বিচারপতির ।