দোহা: শুরুতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। মঙ্গলবার রাতে ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ৯ মিনিট। গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে গোল করে দেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রেগ গুডউইন (Craig Goodwin)। মঙ্গলবার বিকেলে সৌদি আরবের কাছে আর্জেন্তিনার অঘটনের হার নিয়ে তখনও চর্চা চলছে। সেই রেশ কাটার আগেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে গোল হজম করে বসেন কিলিয়ান এমবাপেরা। গোটা ফুটবল বিশ্বে আলোচনা শুরু হয়ে যায়, ফের কি কোনও অঘটন অপেক্ষা করে রয়েছে?


কিন্তু আর অঘটন ঘটেনি। বরং গোল খেয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ফ্রান্স (France vs Australia)। এবং অস্ট্রেলিয়াকে চার গোল দেয়। ৪-১ গোলে ম্যাচ জিতে এমবাপে, অলিভিয়ের জিহুরা দেখিয়ে দেন, কেন এবারও তাঁদের কাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার মনে করা হচ্ছে।


ম্যাচের শেষে ফ্রান্সের আধিপত্য মেনে নেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ গ্রাহাম আর্নল্ড। তিনি বলেছেন, 'দিনের শেষে ফ্রান্স দলের মান যে কী দুর্দান্ত, সেটা মেনে নিতেই হবে। সেই কারণেই ওরা গতবারের চ্যাম্পিয়ন। আমরা ম্যাচটা খুব ভাল শুরু করেছিলাম। কিন্তু শারীরিক দিক থেকে ওরা এত উন্নত আর দ্রুত গতির যে আমরা পাল্লা দিতে পারিনি। না হলে ছেলেরা সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছে এবং আমার এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার ছিল না।'




২০১৮ সালেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রান্সের লড়াই উপভোগ্য হয়েছিল। আত্মঘাতী গোল করে বসায় সেই ম্যাচে হারতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। ম্যাচের ৯ মিনিটে গোল খেয়ে ২৭ মিনিটেই তা শোধ করে দেয় দিদিয়ে দেশঁর দল। বাঁ দিক থেকে ক্রস করেছিলেন থিয়ো হের্নান্দেস। হেডে গোল আন্দ্রে হাঁবিয়ের। পাঁচ মিনিট পরে আবার গোল। এ বার অলিভিয়ের জিহু। যিনি করিম বেঞ্জেমা থাকলে হয়তো প্রথম একাদশে সুযোগই পেতেন না। এ দিন জোড়া গোল করে গেলেন।


প্রথমার্ধে ফ্রান্স ২-১ গোলে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেলেন কিলিয়ান এমবাপেও। ৬৮ মিনিটের মাথায় ডান দিক থেকে বল ভাসিয়েছিলেন ওসমানে দেম্বেলে। লাফিয়ে হেডে গোল এমবাপের। তিন মিনিট পরে তিনি অসাধারণ সোলো রানে বল ভাসিয়েছিলেন বক্সে। হেডে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোল জিহুর। ফ্রান্সের হয়ে যুগ্ম সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন জিহু। ৫১ গোল করে ছুঁয়ে ফেললেন থিয়েরি অঁরির রেকর্ড।


আরও পড়ুন: আর্জেন্তিনাকে হারিয়ে ইতিহাস রচনা, বুধবার জাতীয় ছুটি ঘোষণা সৌদি আরবে