কলকাতা: 'এই সব চুনোপুঁটিরা যে গ্রেফতার হবেন, এটা প্রায় স্বতঃসিদ্ধ। এঁরা যে দুর্নীতি (SSC Scam) করেছেন তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে',শিক্ষক নিয়োগে (teacher recruitment) দুর্নীতি মামলায় এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান (ex chairman) সুবীরেশ ভট্টাচার্যের (Subiresh Bhattacharya) গ্রেফতারি (arrest) প্রসঙ্গে মন্তব্য সিপিএমের (CPM) আইনজীবী সাংসদ (MP) বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের (Bikash Ranjan Bhattacharya)। সঙ্গে দাবি,'এঁদের উপরওয়ালা তো একজন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।... সিবিআই যদি সঠিক তদন্ত করে, তা হলে তদন্তের স্বার্থেই মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা দরকার।'


গ্রেফতারিতে তোলপাড়...
এদিন দুপুরেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এর আগে বাঁশদ্রোণীর বাড়িতে দফায় দফায় অভিযান চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। গত মাসে শিলিগুড়িতে তাঁর বাড়িতেও গিয়েছিল সিবিআই। সে সময়ই প্রকাশ্যে আসে, বাগ কমিটির রিপোর্টে নাম ছিল সুবীরেশ ভট্টাচার্যের। এদিন তাঁর গ্রেফতারির পর নতুন করে তোলপাড় পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সেই প্রসঙ্গেই বলেন,'শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, যাঁদেরই গ্রেফতার হয়েছে তাঁদের প্রত্যেকের দাবি, কিছু জানেন না। সব উপরওয়ালা জানেন। আর এঁদের উপরওয়ালা তো একজনই, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের নির্দেশেই তো এই অপকর্মগুলি হয়েছে।' সিপিএমের এই বিশিষ্ট আইনজীবী সাংসদের তাই দাবি, তদন্তের খাতিরেই মুখ্যমন্ত্রীকেও গ্রেফতার করা দরকার সিবিআইয়ের। না হলে এই তদন্তের কোনও নির্দিষ্ট পরিণতি হবে না। বিকাশরঞ্জনের অভিযোগ, 'পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থার গঙ্গাপ্রাপ্তি করে দিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এখন আমাদের যদি শিক্ষাকে বাঁচাতে হয়, রাজ্যকে বাঁচাতে হয়, তা হলে এই অপরাধীদের বের করে সাজা দিতে হবে।'


প্রেক্ষাপট...
নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্ত-- পার্থ চট্টোপাধ্যায়,কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও এস পি সিন্হা গ্রেফতার হয়েছেন। সিবিআই সূত্রের খবর, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি কারা নিয়ন্ত্রণ করত, তাতে পার্থর কী ভূমিকা ছিল,তা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হবে। যদিও পার্থর দাবি, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। কমিটি গঠনের ফাইলে সই করেছিলেন মাত্র। কিন্তু গোয়েন্দাদের প্রশ্ন,তিনি না জানল কারা জানত। এই সব প্রশ্ন উঠছেই। সূত্রের খবর, টাকার লেনদেন ও প্রভাবশালী যোগের সন্ধান পেতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে আলাদা আলাদা ভাবে জেরা করা হয়। সিবিআইয়ের দাবি, পার্থ তথ্য গোপন করছেন। দুর্নীতির দায় এড়িয়েছেন কল্যাণময়ও। সিবিআই সূত্রে দাবি,পার্থ নিয়োগ দুর্নীতি-যোগ অস্বীকার করলেও তথ্যপ্রমাণ বলছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সরাসরি যোগ রয়েছে। সুবীরেশ ভট্টাচার্যের গ্রেফতারি সেই তদন্তের পথে আরও কিছুটা সাহায্য করবে কি? বলবে সময়।    


আরও পড়ুন:'ববির প্রমোশন হয়নি', আচমকা কী নিয়ে বললেন দিলীপ ঘোষ?