আবির দত্ত, কলকাতা : ফের মা উড়ালপুলে ( MAA Flyover ) চিনা মাঞ্জার ( China Manja ) দাপট। আহত হলেন এক মোটরবাইক আরোহী। মাথায় হেলমেট থাকায় বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা পান। এর আগে চিনা মাঞ্জায় বহু মানুষ আহত হয়েছেন। মারণ মাঞ্জার বিপদ রুখতে, মা ফ্লাইওভারে বেষ্টনীও দেওয়া হয়। তারপরও এই ঘটনা। 


এদিন মা উড়ালপুল ধরে ভবানীপুরের দিকে যাচ্ছিলেন পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা আরিফ জোহর। সকাল ৮টা নাগাদ উড়ালপুলের ওপর চিনা মাঞ্জা আটকে বাইক থেকে পড়ে যান তিনি। গলায় আঘাত লাগে। বাধ্য হয়ে নিজেই মাঞ্জা গোটাতে শুরু করেন ওই বাইক আরোহী। পুলিশের নজরদারি সত্ত্বেও কীভাবে মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জায় আহত হওয়ার একের পর এক ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 


২০২২ সালের ডিসেম্বরেও মাঞ্জার জালে পড়েন এক বাইক আরোহী। ঘুড়ির সুতো জড়িয়ে জখম হন  নিউটাউনের পথে যাওয়া বেহালার এক বাসিন্দা। পথে আচমকা ঘুড়ির সুতোয় জড়িয়ে যান তিনি। তড়িঘড়ি ব্রেক কষে নিজের শরীর থেকে আগে ঘুড়ির সুতোর ফাঁস ছাড়ান। সেক্টর ফাইভ পৌঁছে অস্বস্তি অনুভব হওয়ায় পুলিশকে জানান তিনি। ঘুড়ির সুতোয় কেটে যাওয়া মুখের পাশ থেকে ঘাড় পর্যন্ত ক্ষতস্থল ফার্স্টএইড করে দেয় পুলিশ।


এর আগে একাধিকবার মা উড়ালপুলে ঘটে গিয়েছে মাঞ্জা-দুর্ঘটনা। কেউ মাঞ্জা সুতোয় জড়িয়ে পিছলে পড়ে যান।  কারও নাক মুখ কেটে যায়... গুরুতর আঘাত লাগে। দুর্ঘটনা কমাতে, ফ্লাইওভারের দু’দিকে ফেন্সিং দেওয়ার পরিকল্পনা করে KMDA। পরিকল্পনার বাস্তবায়নও হয়। সায়েন্স সিটি থেকে পার্ক সার্কাসমুখী লেনের বাঁদিক ঘেঁষে, ফ্লাইওভারের ৯০০ মিটারের ধারে, বসানো হয় বেষ্টনী। 

শুধু মা উড়ালপুলেই নয়, দ্বিতীয় হুগলি সেতুতেও ঘটে গিয়েছিল এমন দুর্ঘটনা। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে চিনা মাঞ্জায় কাটে বাইক চালকের গলা। রক্তাক্ত অবস্থাতেই কাপড় চাপা দিয়ে তিনি ছোটেন এসএসকেএমে। পড়ে ৪টি সেলাই। 


এরকম ভাবে বিভিন্ন উড়ালপুলেই বিভিন্ন সময় মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে এই মারণ-মাঞ্জা। ২০২১ সালের অগাস্টে কলকাতা থেকে বাইকে বাগনান যাওয়ার সময় মাঞ্জা সুতোয় ডান হাতের বুড়ো আঙুল কাটে বাগনানের ব্যবসায়ীর। আঘাত লাগে গলাতেও। সাঁতরাগাছি ব্রিজ থেকে নামার সময় ঘটে দুর্ঘটনাটি। 


আরও পড়ুন :


হাজিরা দেবেন না অভিষেক, তদন্তে যেন নড়চড় না হয়, নির্দেশ বিচারপতি সিনহার, আজ তবে কী করবে ED?