কলকাতা: আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তর-পূর্বে বিশেষ মনোযোগের কথা জানিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তার জন্য আরও কয়েক বছর নয়, আরও কয়েক দশক কেন্দ্রে ক্ষমতা ধরে রাখার বার্তা দিয়েছেন তিনি। তা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গণতান্ত্রিক দেশে, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় এই ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করা ধৃষ্টতার সমান বলে মনে করছেন বিরোধীরা।
শাহের মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে
হায়দরাবাদে বিজেপি-র (BJP) জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে রবিবার অংশ নেন শাহ। সেখানেই তিনি এমন মন্তব্য করেন। বিরোধীদের উদ্দেশে কার্যত হুঙ্কারের সুরে জানান, “পরিবারতন্ত্র, জাতপাত এবং তুষ্টিকরণের রাজনীতি সবচেয়ে বড় অভিশাপ। বছরের পর বছর তার জেরে ভুগতে হয়েছে গোটা দেশকে। পশ্চিমবঙ্গ এবং তেলঙ্গানা এই পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি থেকে মুক্তি পাবে। বাংলা, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং ওড়িশায় বিজেপি-র সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।” "দেশের স্বার্থে আরও ৩০-৪০ বছর ক্ষমতায় থাকতে হবে বিজেপি-কে, তবেই ভারত বিশ্বগুরু হয়ে উঠবে", এমন মন্তব্য করেন শাহ।
নির্বাচনী রাজনীতির মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়া যেখানে রেওয়াজ, শাহ এমন মন্তব্য করেন কী ভাবে, প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose)। তিনি বলেন, "ফ্যাসিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই এই ধরনের কথা বলার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। এই ধরনের কথা বলার যে পরিবেশ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে, তাতে যে আগামী দিনে ফ্যাসিবাদী শক্তির পদধ্বনি শোনা যাবে, তা পরিষ্কার বলে দিচ্ছি আমরা। আগাম এমন কথা কেউ বলতে পারে না। আমেরিকায় আগামী ২০ বছরে কী হবে, তা কি কেউ বলতে পারে!"
জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক থেকে বিরোধীদের নিশানা শাহের
পরিবারতন্ত্র নিয়েও এ দিন কংগ্রেস, তৃণমূল এভং অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের আক্রমণ করেন শাহ। তিনি বলেন, "কংগ্রেস রাজনীতিকে জমিদারি বলে মনে করে। কংগ্রেসের অন্দরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের সদস্যরাই লড়ছেন। ভয়ে সভাপতি নির্বাচন করছে না কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গ এবং তেলঙ্গানা পরিবারবাদের রাজনীতি থেকে মুক্তি পাবে। বাংলা, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং ওড়িশায় বিজেপি-র সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।” যদিও শাহকে পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন বিরোধীরা।