ভাস্কর ঘোষ, ডোমজুড়: ঘরের দেওয়াল গাঁথতে গিয়ে বিস্ফোরণে (explosion) জখম রাজমিস্ত্রি (construction laborer)। রবিবাসরীয় সকালের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য হাওড়ার (howrah) হারকল মাঠে। কী ভাবে বিস্ফোরণ?বোমা এলই বা কোথা থেকে? উত্তর খুঁজতে নেমে দুই পড়শির শত্রুতার কথা জানতে পেরেছে পুলিশ। এখনও অবশ্য বিস্ফোরণের কারণ ও উদ্দেশ্য় স্পষ্ট নয়।
কী ভাবে বিস্ফোরণ?
ঘড়িতে তখন বারোটা। দেওয়াল গাঁথার কাজ করেছেন নির্মাণকর্মীরা। হেল্পার মাথায় করে ইট বয়ে আনছেন। ফেলা হচ্ছে মাটিতে। হঠাত ইট ফেলতেই প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ, লুটিয়ে পড়লেন এক রাজমিস্ত্রি। কেঁপে উঠল আশপাশের এলাকা। ধোঁয়ায় ভরে গেল চারদিক। কী হয়েছে জানতে নির্মাণস্থলে ছুটে আসেন আশপাশের মানুষজন। দেখেন মাটিতে পড়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন সাগর খাঁ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আশার কথা, তাঁর চোট গুরুতর নয়। যেখানে ঘর তৈরির কাজ চলছিল সেটি সিল করেছে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব স্কোয়াডে। আর কোনও বোমা ওই এলাকায় রয়েছে কিনা, সেটা দেখতেই আসার কথা তাঁদের।
কেন বিস্ফোরণ?
কারণ স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন, ডোমজুর বিধানসভা কেন্দ্রের নিশ্চিন্দা থানা এলাকার হারকল মাঠের ওই বস্তির যে অংশে বিস্ফোরণ হয়েছে তার দখল নিয়ে রচনা দেবী ও সন্তোষ রায় নামে দুই পড়শির মধ্যে বিবাদ ছিল। রচনা দেবী দাবি, হালে সেই বিবাদের নিষ্পত্তি করে দেন গ্রাম পঞ্চায়েত ও মাতব্বররা। তার পরই ঘর তৈরির কাজে হাতে দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় সন্তোষের দিকেই সন্দেহের আঙুল তুলছেন তিনি। অন্য় দিকে সন্তোষের বক্তব্য, 'আমার খাটাল রয়েছে। তাই নিয়েই ব্যস্ত থাকি। বোমা কোথা থেকে এল জানি না।'
প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, আদতে হারকল মাঠের ওই বসতি-ই বেআইনি। জমি শালিমার ও রেলের জমির উপর বেআইনি দখলদারি করে বসবাস চলছে। এবার সেখানেও জমির মালিকানা নিয়ে বিবাদ দুই পড়শির। তবে তার জেরেই বিস্ফোরণ কিনা স্পষ্ট নয়। যদিও বিষয়টি নিয়ে মোটেও গা আলগা দিতে রাজি নয় পুলিশ।
আরও পড়ুন:হায়দরাবাদে বিজেপি-র জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের দ্বিতীয় দিন, রবিবার এমন মন্তব্য করেন শাহ