আহমেদাবাদ: ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় কবে আছড়ে পড়বে ? ল্যান্ডফলের সময় কতটা তীব্র হবে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ? ঝড়ে গতিপথের দিকে  নজর রেখেছে আইএমডি। ১৬ জুন আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিপর্যয়ের। তবে তার আগেই গতি কমল ঝড়ের। মঙ্গলবার আইএমডি জানাল, সোমবার অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় (extremely severe cyclone  ) থেকে গতি হারিয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে (very severe cyclone ) রূপান্তরিত হয়েছে বিপর্যয়। 


আপাতত ঘূর্ণিঝড়টি গতি কমিয়ে  গুজরাতের সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ উপকূলে অবস্থান করছে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) পূর্বাভাস শুনে সতর্ক পশ্চিম রেলওয়ে এখনই ৬৭টি ট্রেন বাতিল করেছে । ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা হ্রাস পেলেও আইএমডি সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ উপকূল থেকে কমলা সতর্কতা তুলে নেয়নি। বিপর্যয়ের প্রভাবে ভয়ঙ্কর কিছু না ঘটলেও ভারী বৃষ্টি এবং ঝড়ো বাতাস বইতে পারে। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রেখেছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য কচ্ছের জেলা সদর দফতর ভুজে যেতে পারেন। 


আবহাওয়া দফতরের শেষ দেওয়া পূর্বাভাস অনুসারে বিপর্যয় আগামী ১৬ জুন দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থানে প্রবেশ করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথের দিকে নজর রেখে উত্তর পশ্চিম রেলওয়েও (NWR) কিছু ট্রেন বাতিল করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।  জয়পুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা রাধেশ্যাম শর্মা জানিয়েছেন, "ঘূর্ণিঝড় বিপরজয় ১৬ জুন দুর্বল হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থানে একটি নিম্নচাপ হিসাবে প্রবেশ করতে পারে।" ঝড়ের প্রভাবের কারণে, ১৫ জুন বিকেলের পরেই যোধপুর এবং উদয়পুর সংলগ্ন জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। 


 






এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় মোকাবিলা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী ও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে লম্বা কথোপকথন হয়েছে । সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মোকাবিলার প্রস্তুতির মূল্যায়ন করার জন্য একটি পর্যালোচনা সভাও করেছিলেন। গুজরাতে উপকূলীয় অঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকেদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলা হয় কেন্দ্রের তরফে।  


আগে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিল, বিপর্যয় পূর্বে পাকিস্তান উপকূলরেখার দিকে অগ্রসর হবে। তবে তা এখন গতিৃ পথ পরিবর্তন করে  উত্তর গুজরাত উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আরএসএমসি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতা বাড়বে। ভারী ঝড়বৃষ্টি হবে।