আবির ইসলাম, বোলপুর: অবৈধভাবে পুকুর বোজানোর (Illegal pond filling) অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বীরভুমের (Birbhum) বোলপুর পুরসভার (Bolpur Municipality) ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সেনাপট্টিতে। এখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েকদিন ধরে জলাভূমি ভরাট করছিলেন প্রোমোটার উত্তম দাস। এর বিরুদ্ধে পুরসভায় অভিযোগ জানান এলাকাবাসীরা। গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনিও অন্ধকারে ছিলেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর চিরঞ্জীব সাহা। 


বেআইনিভাবে পুকুর ভরাটের অভিযোগ


অভিযোগ পেয়ে আজ সকালে ঘটনাস্থলে আসেন বোলপুর পুরসভার কর্মীরা। তখন তাঁদের উপর প্রোমোটারের লোকজন চড়াও হন বলে অভিযোগ। এরপরই এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। শুরু হয় ধরপাকড়। অভিযুক্ত প্রোমোটার ও জলাভূমি ভরাটের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয় জলাভূমি ভরাট। 


স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এই পুকুরটি তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক কাজের জন্য ব্যবহার করে আসছেন। স্থানীয় বেশ কিছু ক্লাব পুজোর সময় এই পুকুরে প্রতিমা ভাসান দেয়। এছাড়াও পুকুরটি স্নানের জন্যও ব্যবহার করা হয়।


স্থানীয় বাসিন্দা শ্য়ামল চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘আমরা বিভিন্নভাবে পুকুরটিকে ব্যবহার করি। তাই ভরাট করার বিরুদ্ধে পুরসভাকে জানিয়েছিলাম।’


বোলপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিরঞ্জীব সাহা জানিয়েছেন, ‘পুকুর ভরাট নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। বেআইনিভাবে করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে। তাই বন্ধ করে দিলাম।’


বোলপুরের পুরপ্রধান পর্না ঘোষ জানিয়েছেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করেছিল, আজ খতিয়ে দেখিয়ে সকালে কর্মীদের পাঠাই, উত্তম দাস করছিলেন। বন্ধ করতে গেলে ওদের উপর চড়াও হয়। পুলিশ ওদের ধরেছে।’


আরও পড়ুন ২৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন এলাকা ! গরমে নাজেহাল হয়ে জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ রামপুরহাটে


যদিও অবৈধভাবে জলাভূমি ভরাটের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত উত্তম দাস। তাঁর দাবি, ‘এটা পুকুর নয়, শালি জমি। আমি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ওই জলাশয় জায়গাটি মাটি দিয়ে ভরাট করেছিলাম। আমার কাছে সমস্ত বৈধ কাগজ আছে।’


অবৈধভাবে জলাভূমি ভরাটের অভিযোগে, বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে পুরসভার তরফে। পে লোডার দিয়ে জলাভূমি থেকে মাটি তোলার কাজও শুরু হয়েছে।