ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও নানটু পাল, বীরভূম: অনুব্রতহীন বীরভূমে (Birbhum) দলবিরোধী কাজের জন্য পদ হারানোয় গ্রামবাসীদের পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দিলেন দাপুটে তৃণমূল নেতা। প্রায় ১৫ দিন ধরে জল পাচ্ছে না রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের পানিশাইল গ্রামের ৪০০ পরিবার। অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে এই বুথে কংগ্রেসের কাছে তৃণমূলের হার ও দলের হুইপ না মেনে উপপ্রধান নির্বাচন করায়, ১২ অগাস্ট পদ থেকে অঞ্চল সভাপতির অপসারিত হন তৃণমূল নেতা আকবর আলম। তারপর থেকেই পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। দল যখন পদেই রাখেনি, তখন জল সরবরাহের জন্য আমি কেন উদ্যোগ নেব, মানুষ একটু কষ্ট পাক। স্পষ্ট জানিয়েছেন অপসারিত তৃণমূল নেতা আকবর আলম। জরুরি ভিত্তিতে ওই এলাকায় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে বিডিও জানিয়েছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
তৃণমূলের প্রার্থীর হার হয়েছে। জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থী। অভিযোগ, তারপর থেকেই রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াসে বন্ধ পানীয় জল সরবরাহ। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। যদিও পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিডিও। ভোট দেওয়া হয়নি বলেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পানীয় জল সরবরাহ। বীরভূমের রামপুরহাটের আয়াস অঞ্চলে এমনই অভিযোগ তুলছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এবার সরাসরি তেমনই হুঁশিয়ারিই দিলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া আকবর আলম!
তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য, আগে কষ্ট পাক, তারপর জল দেব! আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। আয়াস অঞ্চলে ঘুরলেই দেখতে পাওয়া যাবে এই ছবি। রাস্তার ধারে, নর্দমার পাশে, বসানো রয়েছে একের পর এক পানীয় জলের কল! কিন্তু তাতে জল নেই! এর জেরে সমস্যায় পড়েছে আশেপাশের প্রায় চারশোটি পরিবার। গ্রামবাসীদের দাবি, দিন পনেরো আগে পর্যন্তও, এই কলগুলি থেকেই পানীয় জল পাওয়া যেত। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই আসনে হার হয় তৃণমূলের। জয়ী হয় কংগ্রেস। তারপর, গত ১২ অগাস্ট দলবিরোধী কাজের অভিযোগে অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা আকবর আলমকে।
গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, এই কলগুলোয় জল সরবরাহ হত স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রাক্তন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আকবর আলমের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মুর্শিদ শেখের ব্যক্তিগত উদ্যোগে!!!পানীয় জলের পরিষেবা না দেওয়া নিয়ে কার্যত অসহায় সদ্য জয়ী কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীও। দিও দ্রুত পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিডিও।