ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal), তৃণমূলের (TMC) দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। তার জেরে বীরভূম (Birbhum News) এখন কার্যতই ফাঁকা মাঠ। সেই সুযোগে গোল দিতে নেমে পড়েছে বিজেপি (BJP)। কিন্তু সেখানে গিয়ে ঘুরেফিরে অনুব্রতর নামই উঠে এল বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মুখে। ‘কেষ্টদা’ ফিরে আসতে পারে বলে বীরভূমবাসীকে স্মরণ করালেন তিনি। 


দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বীরভূমে দিলীপ


বিজেপি-র কর্মসূচিতে যোগ দিতে বুধবার থেকে বীরভূমে রয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ।  বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে হাঁটতে বেরোন তিনি। পৌঁছে যান বোলপুরের শ্রীনিকেতন কিষাণ মান্ডিতে। সেখানেই অনুব্রতর নাম উঠে তাঁর মুখে। 


এ দিন বাজারে মাছের দরদাম করছিলেন তিনি। জানতে পারেন, বাটা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। ১৬০ টাকা দরে বিকোচ্ছে পোনা। তাতে মাছ বিক্রেতাদের উদ্দেশে দিলীপ বলেন,  ‘‘বাটা ১৫০, কাতলা, পোনামাছ সব ১৬০? নীচে নামছ না আর? কেষ্টদা নেই বলে যা ইচ্ছা করছ? বেরোক একবার, তোমাদের হবে।’’



নেহাত রসিকতার ছলেই যদিও এমন মন্তব্য করেন দিলীপ, তবে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে তাঁর অনুব্রত-স্মরণ নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছে। জেলে থাকলেও, বীরভূমে অনুব্রতর প্রতাপের কথা জানেন বলেই দিলীপ এমন মন্তব্য করেছেন বলে মনে করছেন অনেকেই। সেই নিয়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছে।

 


 

কিষান মান্ডি নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ দিলীপের

 

কিষান মান্ডি পরিদর্শনে গিয়ে এ দিন রাজ্য সরকারকে যদিও একহাত নেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘‘‘কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে কেন্দ্র। অন্তত ৭০-৮০টি বাজার রয়েছে বাংলায়। আমি ঘুরে ঘুরে দেখেছি। যত সমাজবিরোধীদের আড্ডা হয়, মদ খাওয়া, ফূর্তি হয়।  শুধু বিল্ডিং দেখিয়ে ভোট তুলছে।কোথাও কোনও কাজ হয় না। অনেক জায়গায় সবজি মান্ডি লেখা রয়েছে। কিন্তু সবুজ সাথীর সাইকেল রাখা হয়েছে। জঙ্গল হয়ে গিয়েছে। এগুলি তো পাইকারি বাজার। এখানে পাইকারি হারে ধান চাল বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু রোজের বাজার বসে গিয়েছে। সবজি, মাছ বিক্রি হচ্ছে।’’