ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ধান কেনাবেচার বদলে কিষান মান্ডিগুলিতে নেশার আসর বসে বলে এ বার অভিযোগ করলেন বিজেপি-র (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বৃহস্পতিবার বোলপুরের (Bolpur News) শ্রীনিকেতন কিষাণ মান্ডিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানকার মাছ বিক্রিতা এবং সবজি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথাও বলেন। তার পরই এমন মন্তব্য করেন দিলীপ। তাঁর অভিযোগ, কিষাণ মান্ডিগুলি সমাজবিরোধীদের আড্ডার জায়গা হয়ে উঠেছে। কৃষকদের থেকে ধান কেনার বদলে সেখানে নেশার আসর বসে, ফূর্তি হয় (Birbhum News)।


বোলপুরে কিষান মান্ডি পরিদর্শনে দিলীপ


শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় তৈরি কিষাণ মান্ডিগুলির সঠিক ব্যবহারই রাজ্য সরকার করতে পারছে না বলেও এ দিন অভিযোগ তোলেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে কেন্দ্র। অন্তত ৭০-৮০টি বাজার রয়েছে বাংলায়। আমি ঘুরে ঘুরে দেখেছি। যত সমাজবিরোধীদের আড্ডা হয়, মদ খাওয়া, ফূর্তি হয়।  শুধু বিল্ডিং দেখিয়ে ভোট তুলছে।কোথাও কোনও কাজ হয় না। অনেক জায়গায় সবজি মান্ডি লেখা রয়েছে। কিন্তু সবুজ সাথীর সাইকেল রাখা হয়েছে। জঙ্গল হয়ে গিয়েছে। এগুলি তো পাইকারি বাজার। এখানে পাইকারি হারে ধান চাল বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু রোজের বাজার বসে গিয়েছে। সবজি, মাছ বিক্রি হচ্ছে।



আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: কোনও বিধায়ক লেটারহেডে চাকরির অনুরোধ করবেন না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


যদিও এ দিন কলকাতায় কেন্দ্রের থেকে টাকা নেওয়ার প্রশ্নে অন্য কথাই শোনা যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। তিনি বলেন, ‘‘মমতার বাংলা দিল্লির কাছে হাত পাতবে না।’’


বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) গরুপাচার মামলায় এই মুহূর্তে জেলে। সেই সময়ই বোলপুরে দিলীপ। এ দিন দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও রাজ্য সরকারকে একহাত নেন তিনি। বলেন, ‘‘তৃণমূলের প্রায় সব নেতাই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তল্লাশি করলেই ২-৪ কোটি মিলবে। এর পরিবর্তন চাই।’’


বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত জেলে


বিজেপি-র কর্মসূচিতে যোগ দিতে বুধবার থেকে বীরভূমে রয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ। এ দিন সাতসকালে মর্নিং ওয়াক করতে করতে পৌঁছে যান বোলপুরের শ্রীনিকেতন কিষাণ মান্ডিতে। সেখানেই বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দিলীপের মুখে উঠে আসে অনুব্রতর নামও।  সেখানে মাছ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় দিলীপকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বাটা ১৫০, কাতলা, পোনামাছ সব ১৬০? নীচে নামছ না আর? কেষ্টদা নেই বলে যা ইচ্ছা করছ? বেরোক একবার, তোমাদের দেবে।’’