আবীর ইসলাম ও বাচ্চু দাস, বীরভূম, শিলিগুড়ি : বীরভূমের পাড়ুইয়ে ফের হাতির তাণ্ডব। শেষপর্যন্ত ঘুম পাড়ানি গুলিতে দলছুট দুই হাতিকে কাবু করেন বন দফতরের কর্মীরা। অন্যদিকে শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি এলাকার চা বাগানে ধরা পড়ল চিতাবাঘ। বন দফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিক চিকিত্‍সার পর হাতি ও চিতাবাঘকে ছেড়ে দেওয়া হবে জঙ্গলে।


একদিকে বীরভূমের পাড়ুইয়ে হাতির তাণ্ডব। অন্যদিকে দার্জিলিংয়ের নকশালবাড়িতে চা বাগানে চিতাবাঘের উৎপাত। বাগে আনতে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হল বনদফতরের কর্মীদের। রবিবারের পর ফের সোমবার। ২টি দলছুট দাঁতালের তাণ্ডবে হুলুস্থূল পড়ে যায় বীরভূমের পাড়ুইয়ে। হুলা পার্টির শোরগোল। 


স্থানীয়দের চিৎকার। কোনওকিছুকে পাত্তা না দিয়ে লোকালয় থেকে চাষের জমি দাপিয়ে বেড়ালো দুই দামাল। হাতির তাণ্ডবে প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।


বীরভূম পাড়ুই-এর বাসিন্দা সুকান্ত ঘোষের কথায়, গতকাল একটা হাতি এসেছিল, আজ আবার দুটো হাতি এল। আতঙ্কে রয়েছি। চাষের জমির ক্ষতি হয়েছে।


বনদফতর সূত্রে খবর, পূর্ব বর্ধমান থেকে অজয় পেরিয়ে সোমবার সকালে বীরভূমের পাড়ুইয়ে ঢুকে পড়ে দুটি দলছুট হাতি। শেষপর্যন্ত ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করা হয় তাদের। বীরভূমের ডিএফও দেবাশিস প্রধানের কথায়, দুটো হাতি বর্ধমান হয়ে অজয় পেরিয়ে পাড়ুইয়ে ঢোকে। পরে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করা হয়। 


অন্যদিকে, দার্জিলিংয়ের নকশালবাড়ি এলাকায় বন দফতরের খাঁচায় ধরা পড়ল চিতাবাঘ। স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় চা বাগানে মাঝেমধ্যেই দেখা যাচ্ছিল চিতাবাঘটিকে। শুক্রবার সেটির হামলায় জখম হন চা বাগানের এক শ্রমিকও। 


দার্জিলিং নকশালবাড়ির বাসিন্দা গোবিন্দ বর্মনের কথায়, ৭-৮ দিন ধরে চা বাগানে চিতাবাঘ ঘুরে বেড়াচ্ছিল। শুক্রবার এক চা শ্রমিককে আহত করে। রবিবার রাতে চা বাগান এলাকায় ফাঁদ পাতে বন দফতর। ভোররাতে খাঁচাবন্দি হয় চিতাবাঘ।


দার্জিলিং নিহারকাটা চা বাগানের ম্যানেজার পল্লব মাহাতোর কথায়, বনকর্মীদের খবর দেওয়া হলে খাঁচা পাতেন। আজ ভোররাতে ধরা পড়েছে। বন দফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিক চিকিত্‍সার পর চিতাবাঘটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে জঙ্গলে।