ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: পরিবেশ আইনকে (Environment Law) বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বীরভূমের (Birbhum News) মহম্মদবাজারে জাতীয় সড়কের ধারে বৃক্ষ নিধন (Tree Cutting)। বিজেপির (BJP) অভিযোগ, দুই তৃণমূল (TMC) নেতার মদতে সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। বন দফতরের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


বীরভূমে এ বার নির্বিচারে গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ


দেউচা পাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এবার সরকারি গাছ বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বীরভূমের মহম্মদবাজারে। সেখানে বড় গাছের কেটে নেওয়া গুঁড়ি পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, পুজো শেষ হতেই প্রশাসনের ঢিলেঢালা নজরদারির সুযোগ নিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে শিরীষ, শিশু, সোনাঝুরি-সহ ৩৩টি গাছ। 


মহম্মদবাজার থেকে দেউচা যাওয়ার পথে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে নির্বিচারে সরকারি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কিন্তু গাছ কাটল কারা? স্থানীয়দের দাবি, বেআইনিভাবে গাছ কাটায় অভিযুক্ত গ্রামেরই দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি। 


স্থানীয় এক বাসিন্দা, দীনবন্ধু কর্মকার সংবাদমাধ্যমে বলেন, "পুজোর সময় প্রশাসনের নজরদারি ঢিলেঢালা ছিল...গ্রামের দু’জন ক্ষমতাশালী ব্যক্তির নেতৃত্বে ৩৩টা সরকারি গাছ কাটা হয়।" যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দুই অভিযুক্ত। 


আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: হাওয়ালা মাধ্যমে টাকার লেনদেন! ভাগ যেত BSF, পুলিশ,নেতাদের কাছে, আদালতে সিবিআই


গাছ কাটায় অভিযুক্ত আশুতোষ গড়াই বলেন, ""আমি জানি না...কারা গাছ কেটেছে সেটাও বলতে পারব না।" অন্য অভিযুক্ত রবীন মণ্ডল আবার বলেন, "কয়েকটি ক্লাব পুজোর সময় গাছ কেটেছে বিক্রি করেছে বলে জেনেছি...অভিযোগকারীরাই গাছ কেটেছে।"


আর এই সবুজ-নিধন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। বিজেপি-র বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, "দুই তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে গাছ কাটা হয়েছে...দীর্ঘদিন ধরে এটা চলছে...আগেও অভিযোগ উঠেছে।" অন্য দিকে, বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "তৃণমূলের সঙ্গে গাছ কাটার যোগ নেই।"


গাছ কাটা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা, তৃণমূলকে দোষারোপ বিজেপি-র


অভিযোগ পেয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন বন দফতরের আধিকারিকরা। বীরভূম জেলার বনাধিকারিক দেবাশিস প্রধান বলেন, "বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।" তবে শুধু আশ্বাসে আর স্বস্তি পাচ্ছেন না গ্রামবাসীরা। সবুজ ধ্বংসের প্রতিবাদে মহম্মদবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।