ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: নানুরের (Nanur) হোসেনপুরের দলীয় কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হল বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের (Anubrata Mondal) ছবি! নেপথ্যে কাজল শেখের (Kajal Seikh) হাত দেখছেন অনেকে। যদিও, তা মানতে চাননি কাজল-ঘনিষ্ঠরা। বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা (Anupam Hazra) সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, দিদিমণি তো আগেই মুছে দিয়েছেন মন থেকে, এবার দেওয়াল থেকে মোছা শুরু! 


বীরভূমের (Birbhum) হোসেনপুরে তৃণমূলের কার্যালয়। দেওয়ালে একদিকে, রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee)  ছবি, অন্যদিকে সাদা রঙে ঢেকে ফেলা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি!দেওয়াল জুড়ে তৃণমূল নেত্রী ও দলের নামে স্লোগানের পাশাপাশি লেখা ছিল, অনুব্রত মণ্ডল কেষ্টদা জিন্দাবাদ। সেখানে, বাকি সব লেখা অক্ষত থাকলেও রাতারাতি মুছে ফেলা হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের নাম। দল তাঁকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরায়নি। কিন্তু, তাঁর অস্তিত্ব কি ক্রমশই ফিকে হচ্ছে বীরভূম থেকে?                   


এই প্রশ্ন উঠছে, কারণ নানুরের হোসেনপুরের দলীয় কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হয়েছে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ছবি! বরাবরই রাজনৈতিক মহলে অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখ যুযুধান পক্ষ বলে পরিচিত। সেই বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতির গড়েই অনুব্রত মণ্ডলের ছবি মোছার নেপথ্যে কাজল শেখের হাত দেখছেন অনেকে। যদিও, তা মানতে চাননি কাজল-ঘনিষ্ঠরা। ঘটনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, নানুরের হোসেনপুর গ্রামের তৃণমূল কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি মুছে ফেলা হল! দিদিমণি তো আগেই মুছে দিয়েছেন মন থেকে, এবার দেওয়াল থেকে মোছা শুরু! আস্তে আস্তে পার্মানেন্টলি ছবি হয়ে যাবেন। তৃণমূলে একটাই নীতি - চুরি করে যতদিন তুমি পার্টিকে দিতে পারবে ততদিন তুমি 'গুড বয়' আর ধরা পড়লেই পার্টি তোমাকে চেনে না!


গরুপাচার মামলায় ১ বছরের বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল (TMC) সভাপতি। বেশ কয়েকমাস ধরে তাঁর ঠিকানা এখন তিহাড় জেল। এই প্রেক্ষাপটে, এতদিন যাঁর হুঙ্কারে বীরভূমে বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খেত, তাঁর ছবিই মোছা হচ্ছে। এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।  


আরও পড়ুন: WB Dengue Update: 'অবিলম্বে হেল্পলাইন নম্বর চালু করুন' ডেঙ্গি চিকিৎসায় প্রশাসনকে পরামর্শ চিকিৎসক কুণাল সরকারের