কলকাতা: রাজ্যে ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে ডেঙ্গি (Dengue)। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রায়ই রোজই ডেঙ্গির কারণে মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যকে চিঠি দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই অবস্থায় হেল্পলাইন নম্বরের প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসক কুণাল সরকার (Dr. Kunal Sarkar)। এবিপি আনন্দের যুক্তি তক্কো (ABP Ananda Jukti Tokko) অনুষ্ঠানে 'সময় থাকতে ডেঙ্গি চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন হেল্পলাইন' বলে প্রশাসনকে পরামর্শ চিকিৎসকের। 


ডা. কুণাল সরকার বলেন, "চিকিৎসক হিসেবে যথেষ্ট লজ্জা হওয়ার জায়গা আছে, কেন একজন রোগী একটার পর একটা হাসপাতালে ঘুরবেন। তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে একটা হেল্পলাইন নম্বর চালু করুন। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রোগীদের ডিরেক্টিভ দিন। রাজ্যের সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে ক্রিটিক্যাল কেয়ারের হাসপাতালের তালিকা তৈরি করুন। যেখানে জটিল ডেঙ্গি রোগীদের ভর্তি করা যাবে। প্রচার, রাজনৈতিক কারণে ফোন হাতে তুলে নিই আমরা। মানুষের এই প্রয়োজনের সময় এই টুকু সাহায্য করতে পারব না, এটা পশ্চিমবঙ্গে লক্ষাধিক চিকিৎসকের লজ্জার সময়।''



ডেঙ্গি বা অন্য কমিউনিকেবল ডিজিজ নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন, মনে করেন চিকিৎসক কুণাল সরকারের। তাঁর কথায়, “একটা প্রবচন আছে, গরিবের রোগের গবেষণা হয় না। তাই মশাজনিত রোগ, যেমন ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া বা অন্য কমিউনিকেবল ডিজিজ নিয়ে গবেষণা থমকে দাঁড়িয়েছে। সবাই মনে করি ২-৩ মাসের ধাক্কা। এই ধাক্কা চলে গেলে আবার আমরা নিশ্চিন্ত ফুরফুরে আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে যাব।’’ বৃষ্টির পূ্র্বাভাসের সঙ্গে এখন জনস্বাস্থ্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলে মনে করছেন চিকিৎসক কুণাল সরকার। তিনি বলেন, “রাজ্য এবং কেন্দ্রকে বুঝতে হবে বর্ষা এবং বৃষ্টির পূর্বাভাস জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিষয়।’’


কয়েকদিন আগে ডেঙ্গি আক্রান্ত (Dengue Infection) হয়েছিলেন সদ্য প্রসূতি পায়েল বসু নন্দী। গত ২৬ অগাস্ট পুত্রসন্তান প্রসব করেন তিনি। সন্তান জন্মের তিনদিনের মাথায় তাঁর ডেঙ্গি ধরা পড়ে। একাধিক হাসপাতাল ঘুরে পিয়ারলেস হাসপাতালে (Peerles Hospital) ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানেই মারা যান পেশায় শিক্ষিকা পায়েল। কিন্তু সেই কয়েকটি দিন কতটা দুর্বিষহ অবস্থা হয়েছিল ওই পরিবারের?  ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনান ডেঙ্গিতে মৃত (Dengue Death) প্রসূতি পায়েল নন্দী বসুর স্বামী রাকেশ বসু। প্রতি পদে যে অসহনীয় অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর, সেটাই জানান তিনি। অভিজ্ঞতার কথা শোনাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাকেশ। বারবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেছেন রাকেশ। তাঁর দাবি, 'সিগারেটের প্য়াকেটের বাইরে লেখা হয় এটা বিপজ্জনক, হাসপাতালের বাইরে লিখুক এখানে ICU নেই, এটা বিপজ্জনক।'


আরও পড়ুন: Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তে ইডির আধিকারিক বদল, নির্দেশ বিচারপতির