ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বাড়ি তৈরি করা নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝামলা। আর এই প্রেক্ষিতেই টাকা চাওয়া এবং টাকা নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল কীর্ণাহার থানার ওসির বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীর দাবি, দিদিকে বলোতে জানাতে মিলেছে টাকা ফেরতের আশ্বাস। যদিও এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি কীর্ণাহার থানার ওসির। অন্যদিকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বোলপুরের এসডিপিও। 



বাড়ির মালিকের দাবি, দোতলা তৈরি করা নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝামেলা চলছিল অভিযোগ, সুযোগ বুঝে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন থানার ওসি। টাকা দিতে না পারায় তাঁকে ধরে মারধর এবং থানায় আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। বাধ্য হয়ে দিতে হয় ১০ হাজার টাকা।                                                                    


অবশেষে 'দিদিকে বলো'তে অভিযোগ করায় মিলল টাকা ফেরতের আশ্বাস। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে বীরভূমের কীর্ণাহার থানার ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে। অভিযোগকারী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, 'আমি দু'তলা বড়ি করতে যাই। আমার প্রতিবেশীর বাধা দেয়। কোর্টে যায়। মিটেও যায়। কিন্তু তারপর পুলিশ ডাকে। ডেকে বলে কীর্ণাহার থানার ওসি বলে ঘর করবি কী করে। এক লক্ষ টাকা দে। ঘর কর। ৫০ হাজার টাকার কথা বলে। সেদিন ছেড়ে দেয়। আমাকে একদিন তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে ৫০ হাজার চায়, না দিতে পারায় লকাপে রাখে। আমি ২০ হাজার টাকায় রাজি হই।' 


আরও পড়ুন, কালীপুজোর আগে বঙ্গে হিমেল হাওয়া? না কি ফের বৃষ্টি? কেমন কাটবে দীপাবলির সপ্তাহটি?


অভিযোগকারীর স্ত্রীর দাবি, এরপর তিনি ফোন করে 'দিদিকে বলো'তে ফোন করে অভিযোগ জানান। যদিও, কীর্ণাহার থানার ওসি শেখ আসরাফুল অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে জানিয়েছেন এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। 


ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর অভিযোগকারী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রীকে ডেকে পাঠান বোলপুরের এসডিপিও রকি আগরওয়াল। তিনি জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে