ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বীরভূমের রামপুরহাটে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায়, তরুণীকে অ্যাসিড ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। জখম তরুণী রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

আবারও প্রশ্নের মুখে রাজ্যের নারী নিরাপত্তা। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রাণ সংশয় রামপুরহাটের তরুণীর। অভিযুক্ত ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক। পুলিশ সূত্রে খবর, পাশের গ্রামের তরুণীর সঙ্গে তিনমাস ধরে অভিযুক্তের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শনিবার বাড়ি ফেরেন প্রেমিক। অভিযোগ, তরুণী বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে অ্যাসিড ছুড়ে মারে অভিযুক্ত। গুরুতর জখম তরুণী রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

যদিও অ্যাসি়ড হামলার খবর এই প্রথম নয়। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে কু- প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় এক আইসিডিএস কর্মীকে প্রকাশ্য বাজারে অ্যাসিড হামলার অভিযোগ প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের কৃষ্ণনগর বাজার এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই আইসিডিএস কর্মী কৃষ্ণনগর মধ্যপল্লি সেন্টারে কাজ করেন। দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবেশী বাপি মাইতি তাঁকে কু প্রস্তাব দিচ্ছিল। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গতকাল সন্ধে নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে অ্যাসিড ছুড়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক। অ্যাসিড লেগে গুরুতরভাবে জখম মহিলাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আক্রান্ত মহিলা। ওই অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে সাগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। গোটা বিষয়ের তদন্ত নেমেছে সাগর থানার পুলিশ। 

এদিকে সওয়ারি আছে বলে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে এনে নিউটাউনে টোটো চালককে মাথা-মুখ থেঁতলে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠল। গতকাল রাতে ১৪ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত দেহ। বছর ৪৩-এর টোটো চালকের নাম সুশান্ত ঘোষ। পরিবারের দাবি, বছর দশেক ধরে এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সুশান্তর। সেই সূত্রে মহিলার স্বামীকে মোটা টাকা ধার দেন টোটো চালক। সেই টাকা শোধ দিচ্ছিলেন না দম্পতি। এ নিয়ে বচসাও হয়। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক এবং টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই খুন বলে পরিবারের অভিযোগ। অভিযুক্ত দম্পতিকে আটক করেছে ইকো পার্ক থানার পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, সওয়ারি আছে বলে কে ফোন করেছিল টোটো চালককে? অভিযুক্ত দম্পতি খুনে জড়িত? নাকি পেশাদার খুনিকে কাজে লাগানো হয়েছিল? এলাকার CC ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।