ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও নান্টু পাল, রামপুরহাট : এবার বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত তৃণমূল নেতার মুখে 'খেলা হবে' (Khela Hobe)। অনুব্রত মণ্ডলের কথাই এবার শোনা গেল কাজল শেখের (Kajal Sheikh) গলায়। যাকে নিছকই প্রচারে আসার পন্থা বলে নিশানা করেছে বিজেপি।


'কথা তো হবে, দেখা তো হবে, খেলা তো হবে। অপেক্ষা করুন। খেলা হবে অপেক্ষা করুন।' এমনই কথা শোনা গেল বীরভূমের রাজনীতিতে বরাবরই অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত কাজল শেখের মুখে। একসময় এই খেলা হবে স্লোগানই শোনা যেত বীরভূমের তৎকালীন দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গলায়। যার নামে বীরভূমে বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খেত, গরুপাচার মামলায় তাঁর ঠিকানা এখন তিহাড়। আর তাঁর অনুপস্থিতিতে, রামপুরহাটে দলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান থেকে বিরোধীদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন কাজল শেখ।


বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলেন, 'চিহ্নিত করতে হবে তাঁদেরকে যারা ৩৬৫ দিন মানুষের পাশে থাকে না। ভোটের বাজনা বাজলেই মানুষকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে, অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করে সেই মানুষগুলোকে আমাদের চিহ্নিত করে তাঁদেরকে তাঁদের মতো তাঁদের জায়গায় পাঠাতে হবে। কোথায় পাঠাতে হবে সেটা এখন বলব না। সময় এলেই বলব।'

আর এই নিয়ে কাজল শেখকে নিশানা করেছে বীরভূম জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বীরভূম সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, 'কাজল শেখ নতুন নতুন জেলার রাজনীতি করছেন তো। ওঁর যিনি আগে নেতা ছিলেন, তিনি 'খেলা হবে' স্লোগান দিয়ে তিহাড় জেলে শুয়ে আছেন। হাইলাইট হওয়ার জন্য খেলা হওয়ার মন্ত্র আবার সামনে আনছেন। আবার লোকসভা ভোটে খেলা হওয়ার মন্ত্র আনছেন। উনি তিহাড় গেছেন, ইনি বিহার যাবেন। বীরভূমের মানুষ জানেন, কাকে কোন সময়ে কোন দাওয়াই দিতে হয়।'  


সম্প্রতি, নানুুরের দলীয় কার্যালয়ে সাদা রং দিয়ে মুছে ফেলা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। কাজল শেখ জেলা পরিষদের সভাধিপতি হওয়ার পর, পদত্যাগ করেছেন খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাঞ্চন অধিকারী। বীরভূমে এহেন রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এবার, অনুব্রত বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা কাজল শেখের মুখে শোনা গেল 'খেলা হবে' স্লোগান।


আরও পড়ুন ; অনুব্রতহীন বীরভূম, 'খেলা হবে' স্লোগান কাজল শেখের মুখে