ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, সিউড়ি : মুর্শিদাবাদ থেকে বীরভূম, মাধ্যমিকের কারণ দেখিয়ে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই মুর্শিদাবাদ থেকে বীরভূমে রাহুলের ন্যায় যাত্রা। বীরভূমের কোথাও দাঁড়িয়ে রাহুলকে কথা বলার অনুমতি দিল না পুলিশ। রামপুরহাট থেকে রাজগ্রাম হয়ে ঝাড়খণ্ডে ঢোকার কথা ন্যায় যাত্রার।


আজ রাহুলের ন্যায় যাত্রায় অপেক্ষায় বীরভূম-মুর্শিদাবাদের সীমানায় থাকা গ্রাম মুদিগ্রামে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় বীরভূম জেলা সভাপতি মিল্টন রশিদ-সহ অন্যান্য নেতৃত্বকে। চারপাশে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি। ছিল পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা। তার মধ্যেই ঢুকে পড়ে রাহুলের যাত্রা। বীরভূমে ২৫০ থেকে ৩০০ পুলিশকর্মী মোতায়নে করা হয় রাহুলের ন্যায় যাত্রা ঘিরে। যাতে সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনও সমস্যা না হয়। রাস্তার দু'ধার দড়ি দিয়ে আটকে রাখা হয়। পুলিশ কনভয়ের সংখ্যা কমাতে চাইছে। কংগ্রেসের বক্তব্য ছিল, মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর যাত্রা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু, সেই অনুমতিও পুলিশ দেয়নি। তাদের যুক্তি, ১টায় পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি ফেরার তাড়া থাকবে। রাস্তাতে তারা বাধা প্রাপ্ত হতে পারে। তাই, কোনওভাবেই অনুমতি দেওয়া যাবে না। কিন্তু, অনুমতি ছাড়াই সেই ব়্যালি রামপুরহাটের অভিমুখে যেতে দেখা যায়। ২২ কিলোমিটার ধরে এই ব়্যালি হবে। তারপর রামপুরহাট পৌঁছবে। সেখানে মধ্যাহ্নভোজনের পর কংগ্রেসের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। বীরভূমের শেষ প্রান্ত রাজগ্রামে যাবেন রাহুল। সেখানে মানুষজনের সঙ্গে কথা বলবেন। তারপর এখান থেকে তিনি সরাসরি বেরিয়ে যাবেন ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশে।  


এর আগে মুর্শিদাবাদের কান্দির নবগ্রামে পুলিশের বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্য়ায় যাত্রায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। নবগ্রামে যাত্রা আটকে দেওয়ার প্রতিবাদে কান্দিতে পথ অবরোধ করেন কংগ্রেস কর্মীরা। 


আব্দুল গণি খান চৌধুরীর গড় থেকে অধীর চৌধুরীর জেলায় পৌঁছয় রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। মালদার সুজাপুর থেকে গতকাল সকালে ন্যায় যাত্রা শুরু হয়। কালিয়াচক হয়ে ফরাক্কা সেতু পেরিয়ে ঢোকে মুর্শিদাবাদে। এরপর ধূলিয়ান, সুতিতে পৌঁছয় রাহুলের ন্যায় যাত্রা। সেখানে বিড়ি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রঘুনাথগঞ্জ থেকে রাহুলের ন্যায় যাত্রায় যোগ দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।