বীরভূম: স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) নিজে তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও নিজেকে ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেছেন আনারুল হোসেন (Anarul Hossain)। কিন্তু এ বার তাঁর বিপত্তি আরও বাড়ালেন ভাদু শেখ খুনে (Bhadu Sheikh Murder) ধৃতদের মধ্যে এক জনের আত্মীয়া। তাঁর অভিযোগ, দাউ দাউ করে পর পর বাড়িগুলি (Rampurhat Bogtui Arson) জ্বলতে থাকলেও, গ্রামে পুলিশকে ঢুকতে দেননি আনারুলই। ওই দিন ভাদু খুন হওয়ার পরেও চারিদিকে বোমা ফাটছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।
ভাদু শেখ খুনে ধৃত মোট চার
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে তৃণমূলের (TMC) উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে তৃণমূলের উপপ্রধান খুনের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল চার। এর মধ্যে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তথা ধৃত সঞ্জু শেখের পিসি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “ওই দিন দাউদাউ করে আগুন জ্বলছিল। কান্নাকাটি চলছিল ভাদু শেখের বাড়িতে। আনারুলই গ্রামে পুলিশ ঢুকতে দেয়নি। ওই সব করিয়েছে। চারদিকে বোমা ফাটছিল। আমরা প্রাণভয়ে খাটের তলায় লুকিয়েছিলাম।”
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা মিলেছিল ধৃত চার জনকে
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন শেরা শেখ, সঞ্জু শেখ, এবং রাজা শেখ নামের তিন দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার, এই তিন জনকে গ্রেফতার করে বীরভূম জেলা পুলিশ। এই চার জনকে বোমা ছুড়তে দেখা গেছিল।যদিও ধরা পড়ার পর সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার উদ্দেশে তাঁরা বলেন, “আমরা নির্দোষ”।
এ দিকে, বুধবারই রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে জে পি নাড্ডার (JP Nadda) কাছে রিপোর্ট পেশ করল বিজেপির (BJP) পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ, সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা ও স্বাধীনতার মৌলিক অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ তৃণমূল সরকার। বালি, পাথর, কয়লা এবং অন্যান্য মাফিয়ার টাকা তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাদের কাছে যায়। বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের রিপোর্টে উল্লেখ।
তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বিজেপির রিপোর্ট সিবিআই তদন্তকে দুর্বল করবে, প্রভাবিত করবে। এই ধরনের রিপোর্ট তদন্তকে ভুল পথে চালিত করবে। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের রিপোর্ট পেশ নিয়ে দার্জিলিঙে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর দাবি রামপুরহাটকাণ্ড বিজেপির বড় ষড়যন্ত্র।