ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, রামপুরহাট: জামাইবাবুর গলায় তরোয়ালের কোপ শ্যালকের (Crime News)। পারিবারিক অশান্তির জেরে ঘটে গেল এমন ভয়াবহ ঘটনা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে জামাইবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। শ্যালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের (Birbhum News) মল্লারপুরে। 


জামাইবাবুর গলায় তরোয়ালের কোপ শ্যালকের


বীরভূমের রামপুরহাট পৌরসভার অন্তর্গত ২ নম্বর ওয়ার্ডের নিশ্চিন্তপুর এলাকার ঘটনা। শনিবার ভোর রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তরোয়ালের আঘাতে জামাইবাবুকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে শ্যালকের বিরুদ্ধেই। দিদিকে বিবাহবিচ্ছেদ দিতে রাজি না হওয়াতেই জামাইবাবুর সঙ্গে অশান্তি বাধে। তাতেই জামাইবাবুর গলায় অভিযুক্ত তরোয়ালের কোপ বসান বলে জানা গিয়েছে।


বীরভূমের মল্লারপুরের বাসিন্দা কৃষ্ণকান্ত কর্মকার। তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় রামপুরহাটের শ্রীফলা এলাকার বাসিন্দা বিশাল মালের  দিদির। তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য অশান্তি ছিল বলে জানা গিয়েছে। তাই বিশালের পরিবার চাইছিল মেয়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যাক। কিন্তু কৃষ্ণকান্ত স্ত্রীকে বিবাহবিচ্ছেদ দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। তাতেই অশান্তি চরমে ওঠে।


আরও পড়ুন: Bengali Soldier Body Return : সিকিমে পথদুর্ঘটনায় নিহত বাঁকুড়ার বাঙালি জওয়ানের মৃতদেহ ফিরল রাজ্যে


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার নিশ্চিন্তপুরে মাসির বাড়িতে ছিলেন কৃষ্ণকান্ত। ভোর রাতে পাঁচ-ছ'জন বন্ধুকে নিয়ে সেখানেই হাজির হন বিশাল। বচসা, অশান্তির পর সরাসরি জামাইবাবুর গলায় তরোয়ালের কোপ বসান তিনি। তাতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন কৃষ্ণকান্ত। সেই অবস্থায় কোনও রকমে কৃষ্ণকান্তকে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। 


কৃষ্ণকান্তের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বিশালকে গ্রেফতার করেছে রামপুরহাট থানার পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটমায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পারিবারিক ঝগড়া-অশান্তি থেকে খুনের ঘটনা ঘটে যাবে তা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না অনেই। কৃষ্ণকান্তের পরিবার অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। 


সিকিমে পথদুর্ঘটনায় নিহত বাঁকুড়ার বাঙালি জওয়ানের মৃতদেহ ফিরল


এ দিকে, সিকিমে পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident in Sikkim) নিহত বাঙালি জওয়ানের মৃতদেহ ফিরল রাজ্যে। পানাগড়ে (Panagarh) সেনাছাউনিতে রাখা হয়েছে মরদেহ। রবিবার সকালে বাঁকুড়ার (Bankura) গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। কেন যে করোনার জন্য দুবছর চাকরির মেয়াদ বাড়ল স্বামীর! তাই আর ফিরলেন না তিনি! আক্ষেপ করছেন মৃত জওয়ানের স্ত্রী।