নান্টু পাল, বীরভূম: অশান্তির অভিযোগ কাঁধে নিয়েই বকেয়া পুরসভা নির্বাচন (WB Municipal Polls 2022) ভোট শেষ হয়েছে। তার রেশ কাটেনি এখনও পর্যন্ত। ভোট চলাকালীন অশান্তি ছড়ানোয় লিপ্ত থাকার অভিযোগে এ বার বীরভূমে (Birbhum News) সিপিএম (CPM) প্রার্থী-সহ চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশষ। তাঁদের বিরুদ্ধে ইভিএম ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধের অভিযোগ এনেছে পুলিশ।


বীরভূমের রামপুরহাট (Rampurhat News) পুরসভার ঘটনা। সেখানকার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইভিএম ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। রাস্তা অবরোধ করে অচলাবস্থা তৈরিরও অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। তাতে সেখানকার প্রার্থী সঞ্জীব মল্লি-সহ চার জনকে গ্রেফতার করে রামপুরহাট থানার পুলিশ।


সোমবার ধৃতদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। কিন্তু এ দিন বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশকেই। সেখানে রামপুরহাট মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে ভিড় করেন বাম কর্মী এবং সমর্থকেরা। ধৃতদের নিঃশর্তে জামিন দিতে হবে বলে দাবি জানান। পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।


রবিবার দুপুরের দিকে রামপুরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩৭ নম্বর বুথে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছিল। দুপুরের পর কিছু দুষ্কৃতী বুথ দখল করে ছাপ্পা মারতে শুরু করে বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে সঞ্জীব মল্লিক প্রহৃত হন বলেও অভিযোগ। এমনকি তাকে বাঁচাতে গিয়ে মারধর স্ত্রী এবং মেয়েকেও মারধর খেতে হয় বলে দাবি বামেদের।


আরও পড়ুন: Berhampore News: দেখানো হল ঝাঁটা, বহরমপুরে অধীরকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ তৃণমূলের


যদিও পুলিশ এবং প্রশাসনের দাবি, ইভিএম ভাঙায় নেতৃত্ব দিয়েছেন সঞ্জীব। তার প্রতিবাদে দুমকা রাস্তা অবরোধ করে সিপিএম। বিক্ষোভ তুলতে এলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তাদের। সেখান থেকে নেতা-কর্মীদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।


পুরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চালাকালীন রবিবার দিনভর অশান্তির খবর উঠে এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। বহরমপুরের একাধিক পুরসভা কেন্দ্রে বিরোধী প্রার্থীদের হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। কোথাও মেরে কংগ্রেস কর্মীর কান ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কোথাও আবার অভিযোগ ওঠে বুথ থেকে এজেন্টকে বার করে দেওয়ারও। বারাসতে গাড়ি আটকে দেওয়া হয় সিপিএম প্রার্থীর।


তা নিয়ে গতকালই তীব্র প্রতিবাদ জানান বিরোধী শিবিরের নেতা-নেত্রীরা। ভোটের নামে সন্ত্রাস চলছে বলে অভিযোগ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। গুন্ডা নামিয়ে তৃণমূল ভোট করিয়েছে বলে দাবি করেন বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলস যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে।