রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর: পুরভোটর অশান্তির আঁচ এখনও অব্যাহত। বহরমপুরে তা টের পেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। সেখানে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল (TMC) কর্মীরা। দুই দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলার খবর পেয়ে গিয়েছিলেন অধীর। সেখানে তাঁকে ঘিরেই বিক্ষোভ দেখানো হয়। 


সোমবার সকালে বহরমপুর (Berhampore News) সদর হাসপাতাল চত্বরে এই ঘটনা ঘটেছে। পুরভোটের (WB Municipal Polls 2022)অশান্তি নিয়ে এ দিনও সেখানে ঝামেলা চলছিল দুই দলের মধ্যে। খবর পেয়ে বেলার দিকে সেখানে পৌঁছন অধীর। কিন্তু তাঁকে দেখে উত্তাপ আরও ছড়ায়। পুলিশ এবং নিরাপত্তার ঘেরাটোপে অধীর চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলেও, তাঁর বিরুদ্ধে ধ্বনি তোলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। এমনকি ভিড়ের মধ্যে থেকে অধীরকে ঝাঁটা এবং ঝাড়ুও দেখানো হয়। 


পুরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চালাকালীন রবিবার দিনভর অশান্তির খবর উঠে এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। বহরমপুরের একাধিক পুরসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস কর্মীদের হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। কোথাও মেরে কংগ্রেস কর্মীর কান ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কোথাও আবার অভিযোগ ওঠে বুথ থেকে কংগ্রেস এজেন্টকে বার করে দেওয়ারও। 


খবর পেয়ে ভোট চলাকালীনই পরিস্থিতি তদারকিতে বেরিয়ে পড়েন অধীর। বুথে ঢুকে ঝামেলা দেখতে যান। কিন্তু সেখানে তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে দাবি করেন অধীর। তিনি জানান, বাইরের কাউকে বুথে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয় তাঁকে। তিনি নিয়ম লঙ্ঘন করছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। কিন্তু অধীর যুক্তি দেন যে, তিনি আইন-কানুন ভালই জানেন। যাঁরা ঝামেলা করছেন, তাঁরাই কোনও কিছুর ধার ধারছেন না। 


আরও পড়ুন: BJP Bangla Bandh : ‘অনুরোধ করব বেলা ১২টায় বনধ তুলে নিতে’ , নন্দীগ্রামে ঘোষণা শুভেন্দু অধিকারীর


ভোটের নামে সন্ত্রাস চলছে বলেও অভিযোগ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। গায়ের জোরে তৃণমূল ভোট করাচ্ছে বলে সরব হন। যদিও তাঁর অভিযোগ উড়িয়ে দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। 


তবে শুধু কংগ্রেস বা অধীরই নন, সিপিএম, বিজেপি-র তরফেও পুরভোটে হিংসা, অশান্তির অভিযোগ তোলা হয়েছে। শাসকদল দেদার ছাপ্পাভোট করিয়েছে, বহিরাগত এনে ভোট দেওয়া করিয়েছে এবং গোটা পর্বে নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ তোলে তারা। 


পুরভোটে অশান্তির প্রতিবাদে রবিবারই শহরে লালবাজার অভিযানো নামে বিজেপি। সোমবার রাজ্য জুড়ে বনধও ডাকে তারা। তাতে বাধআ দিলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে তাদের। পুলিশ শাসকদলের হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি।