শান্তিনিকেতন: শিশুকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে (Santiniketan Child Murder)। সেই আবহে শান্তিনিকেতনে গিয়ে বিক্ষোক্ষের মুখে পড়লেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সুকান্ত এবং তাঁর সঙ্গে যাওয়া বিজেপি-র প্রতিনিধি দলকে মোলডাঙা গ্রামে ঢুকতে বাধা স্থানীয়দের। সেই নিয়ে তুমুল বচসা স্থানীয়দের সঙ্গে। দলের পতাকা নিয়ে কেন এসেছেন বিজেপি নেতারা, জানতে চান স্থানীয় মানুষ জন। তা নিয়ে তীব্র বচসা শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে। শেষমেশ বিজেপি-র (BJP) প্রতিনিধি দলের পাঁচ জনকে পীড়িত পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়।  


শান্তিনিকেতনে এ বার সুকান্তকে ঘিরেও বিক্ষোভ


গ্রামবাসীদের কাছে অনুমতি পেয়ে ওই বাড়িতে ঢোকেন সুকান্ত, লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, অনুপ সাহা, বিমান ঘোষরা। মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা জানান, সহযোগিতা করতেই সেখানে এসেছেন তাঁরা। তার পরও যদিও উত্তেজনা কমেনি। বাইরে ভিড় জমা হয়ে ছিলই। মৃত শিশুর  পরিবারের সঙ্গে দেখা করার আগে, বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতনের মোলডাঙা পর্যন্ত মিছিল করেন সুকান্তরা। 


এর আগে, ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। স্থানীয়দের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন লকেটও। তবে মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা না করেই ফিরে আসতে হয় তাঁকে। সেই সময়ও গ্রামবাসীদের একই যুক্তি ছিল, শিশুর মৃত্যু নিয়ে কোও রাজনীতি হতে দেবেন না তাঁরা। 


আরও পড়ুন: Ration Card: বাতিল নয়, পুজোর মুখে ৬২ লক্ষের বেশি রেশন কার্ড নিষ্ক্রিয় করার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের


অন্য দিকে, শান্তিনিকেতনের মোলডাঙায় পাঁচ বছরের শিশুকে অপহরণ করে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় এ দিন নিহত শিশুর বাড়িতে যায় রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়। পাশে থাকার আশ্বাস দেয় কমিশন।


ইচ্ছাকৃত ভাবে বিজেপি ঘটনার রাজনীতিকরণ করছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের


শিশু খুনের ঘটনায় বুধবার অসান্তি চরমে ওঠে রাজ্য বিধানসভাতেও। অধিবেশনের প্রথমার্ধের শেষ ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ প্রস্তাব পেশ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাতে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ। শিশুর মৃত্যু ঘিরে যে ভাবে রহস্য দানা বেঁধেছে, কয়েক দিন পর পড়শির বাড়ি থেকে যে ভাবে শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছে, তা নিয়ে বিবৃতি দিন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। কী ঘটেছে, কারা দায়ী, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে জানাতে হবে তাঁকে। 


এর জবাবে বিজেপি-র বিরুদ্ধে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ তোলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, "ঘটনাটি অত্যন্ত খারাপ এবং দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু এটা সকলেই বুঝতে পারছেন যে, বিজেপি শুধুমাত্র গন্ডগোল এবং অস্থিরতা তৈরি করতেই এসব করছে। কারণ এর সঙ্গে সার্বিক আইনশৃঙ্খলার কোনও সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগত রোষ থেকে এমন কুৎসিত ঘটনা যদিও কেউ ঘটান, তার সঙ্গে রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসন, সার্বিক আইনশৃঙ্খলার সম্পর্ক থাকতে পারে কী করে! ’’