ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম:  দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। তা নিয়ে যেমন ক্ষোভ উগরে দিলেন, তেমনই তৃণমূল (TMC) থেকে পদত্যাগ করলেন বীরভূমের (Birbhum News) নেতা বিভাসচন্দ্র অধিকারী। একই সঙ্গে দলকে আক্রমণ করতে গিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যও করে বসলেন তিনি। 


বিভাসের মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়


বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বিভাসচন্দ্র অধিকারী। দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে পদ ছাড়লেন তিনি। তাঁর বক্তব্য়, "এর পরে যদি বলেন লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে প্রত্যেকটা গ্রামে আমাকে ভোট করতে, পারব না। এই সহানুভূতিটা যদি আমার ব্লকের TMC কর্মীদের না থাকে, আমার ওপর, সে দলে...করে দেওয়া উচিত।"

বিভাস আরও বলেন, "যে সমস্ত ওয়ার্ডে আমাদের লিড দিতে পারেনি, তার সমস্ত ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট, অঞ্চল প্রেসিডেন্টকে তাড়ানো দরকার ছিল। উচিত ছিল। ভোটটা এভাবে হয় না।" তাঁর এই মন্তব্যের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে এবিপি আনন্দ এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি। 


আরও পড়ুন: Tapas Chatterjee: 'আমরা বোধহয় দ্বিতীয় শ্রেণীভুক্ত,' মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বিজয়া সম্মিলনীতে ডাক না পেয়ে বিস্ফোরক তাপস


জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে, তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে চিঠি দিয়ে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন বিভাসচন্দ্র অধিকারী।  তিনি বলেন, "আমার হার্টের পাম্পিং ৩৫%। আমাকে এখনও পর্যন্ত শুয়ে থাকতে হয়।"


যদিও বিজেপি-র দাবি, দুর্নীতি-অস্বস্তি ঢাকতেই তৃণমূলে পদত্যাদের হিড়িক। বিজেপি-র বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, "তৃণমূলের সবাই পদত্যাগ করবে। চোরেদের দলে বেশিরভাগ মানুষ থাকবে না।"


অন্য দিকে, বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "শুনলাম বিভাস রিজাইন করেনি। আমাদের কাছে অফিসিয়াল রেসিগনেশন আসেনি। তার অপারেশন দরতকার। শরীর ভাল নয়। এখনও দলেই আছেন।"


বিভাসের পদত্যাগ ঘিরে জোর জল্পনা বীরভূমের রাজনীতিতে


তবে শুধুই কি শারীরিক অসুস্থতা? দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ? নাকি অন্য কোনও রাজনৈতিক পরিকল্পনা? ভোটের আগে, তৃণমূল নেতার পদত্যাগ ঘিরে, বীরভূমে চলছে জোর জল্পনা। 


এ দিকে, তৃণমূল পরিচালিত ঝালদা পুরসভায় এবার অনাস্থা প্রস্তাব কংগ্রেসের (Congress)। অনাস্থা চেয়ে জেলাশাসক ও মহকুমাশাসককে চিঠি কংগ্রেস কাউন্সিলরদের। অনাস্থা চেয়ে চিঠি কংগ্রেসের ৫ কাউন্সিলর ও ১ নির্দল কাউন্সিলরের। ঝালদা পুরসভার (Jhalda) ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টি তৃণমূল, ৫টি কংগ্রেস, ২টি নির্দল। এক নির্দল কাউন্সিলর সমর্থন করেন তৃণমূলকে। অপর নির্দল কাউন্সিলরকে নিয়ে তৃণমূলের বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব কংগ্রেসের।