রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর : নার্সিংহোমে চিকিৎসার গাফিলতি ও মোটা অঙ্কের বিলের অভিযোগ নিয়ে নালিশ জানাতে এসে, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল রোগীর পরিবার ও তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। হরিহরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখ ও জেলা পরিষদের সভাধিপতির সামনেই স্বাস্থ্য আধিকারিকের জামার কলার ধরে চলে টানাটানি। ধাক্কাধাক্কি করা হয়।


শেষপর্যন্ত নিরাপত্তারক্ষীরা এসে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (CMOH) সন্দীপ সান্যালকে উদ্ধার করেন। হরিহরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখ জানান, তাঁর সঙ্গেই এসেছিলেন হামলাকারীরা। এই ঘটনা কাম্য নয় বলেই বিধায়ক জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য আধিকারিককে নিগ্রহের ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ (Baharampore Police Station)। মুখ খুলতে চাননি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। 


দিন দুয়েক আগে তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর। অভিযোগের তির দলেরই দুই নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল কোচবিহারের দিনহাটা। সেখানে দলেরই দুই নেতার বিরুদ্ধে এক তৃণমূল কর্মীকে বেধরক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। জখম কর্মী হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করেছে তৃণমূলের একাংশ। সেই মিছিল থেকে অভিযুক্ত দুই নেতাকে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। যদিও অভিযুক্তদের একজন মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।


তৃণমূলের পতাকা নিয়ে মিছিল! আর তার থেকে শাসকদলেরই দুই নেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে স্লোগান উঠল। যাঁদের বিরুদ্ধে এই স্লোগান উঠেছে, তাঁরা দিনহাটায় এক তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত। এই ঘটনাকে ঘিরে সরগরম দিনহাটার বুড়ির হাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। 


এদিকে, টাকার জন্য খাস কলকাতায় (Kolkata) এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। একাদশীর দিন ভোরবেলা চেতলা রোডে এই ঘটনা ঘটে। সিসি ক্যামেরায় (CCTV Camera) ধরা পড়েছে মারধরের ছবি। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ চৌধুরী (৪৫)। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে চেতলা থানার পুলিশ। 


পরিবারের দাবি, একাদশীর ভোরে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তি চা খেতে বেরিয়েছিলেন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে এসএসকেএমে নিয়ে যায় পুলিশ। গতকাল সন্ধেয় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। টাকার জন্য খুন বলে অভিযোগ পরিবারের। মত্ত অবস্থায় বচসার জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।


দশমীর রাতে নৃশংসা ঘটনা নদিয়ার (Nadia News) নাকাশিপাড়ায় (Nakashipara News)। পাড়ার পুজো-প্যান্ডেলের মাইক সাময়িক বন্ধ করা নিয়ে ঝামেলা। তাতে এক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ। মাইক বন্ধ করে তিনি মোবাইল ফোন খুঁজছিলেন, সেই সময়ই ঝামেলা বাধে, তাঁকে কয়েক জন মিলে বেধড়ক মারধর করেন এবং শেষে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় বলে দাবি পরিবারের (Death)।