নানুর : "প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা, ১০০ দিনের টাকা না দিলে বেঁধে রাখুন। টাকা না দিলে বিজেপি নেতাদের (BJP Leaders) বেঁধে রাখুন।" এবার এভাষাতেই হুমকি দিলেন বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু (Debu Tudu)। নানুরে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, "টাকা আটকে দিচ্ছে, টাকা না দিলে মিটিং-মিছিল করতে দেব না।"
দেবু টুডুর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের বাপের টাকা নয়, বাংলার ট্যাক্সের টাকা থেকে আমাদের দেবে ! কী পারব তো ? মায়ের দুধ খেয়েছি তো ? যারা জয়শ্রী রাম বলতে আসবে, বেঁধে রাখুন। আগে টাকা দে, তবে জয় শ্রীরাম বলবি।
পরে নিজের বক্তব্য নিয়ে সাফাই দিতে গিয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, "১০০ দিনের টাকা, বাংলা আবাস যোজনার টাকা না দিলে আমরা মিছিল-মিটিং করতে দেব না। জয় শ্রীরাম করতে দেব না। বাংলার মানুষ প্রতিবাদ করবে। আগে টাকা দিন, তারপর অন্য কথা। এটা তো বাংলার মানুষের টাকা। গরিব মানুষ খেটেছে, আদিবাসীগুলো খেটেছে, তাদের টাকা আটকে দিচ্ছে ? কীসের শত্রুতা ? বাংলা মানে শত্রু ? বাঙালি মানে শত্রু ?"
কী বলছে বিজেপি ?
পাল্টা জবাব দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, "আরে নিদান দেওয়া এক কথা, আর করে দেখানো আর এক কথা। সেই কারণে আমি পরিষ্কার বলতে চাই, যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা উগ্র বক্তব্য রাখছেন, সন্ত্রাসবাদীদের মতো বক্তব্য রাখছেন, কেন রাখছেন ? যখন বুঝছেন, মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। তখন এই জাতীয় উগ্রপন্থার দিকে মানুষ যায়। তৃণমূলের অবস্থা তা-ই। তৃণমূল যদি মানুষের প্রতি বিশ্বাস, আস্থা থাকত, তাহলে এই জাতীয় বক্তব্য রাখত না। হিংসা ছড়ানোর কাজ করত না। কারণ, এরা জানে হিংসা ছাড়া ওদের বাঁচার কোনও রাস্তা নেই। সেই কারণে হিংসা ছড়িয়ে ভয়ের একটা বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।"
সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী ১০০ দিনের কাজ করাতে রাজ্যের ৪ দফতরকে ব্যবস্থার কথা ভাবতে বলেন। মুখ্যসচিবকে ব্যবস্থার কথা ভাবতে নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অন্য প্রকল্প থেকে টাকা নিয়ে ফান্ড তৈরি করতে হবে। ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। গরিব মানুষগুলো কী খাবে?’
আরও পড়ুন ; ‘বেআইনিভাবে নিযুক্ত সকলের চাকরি যাবে নভেম্বরে,কলকাতায় জড়ো হয়ে টাকা ফেরত চাইবে’ : শুভেন্দু