বীরভূম: জগদীশ বাসুনিয়া, অর্জুন সিংহর পর কাজল শেখ। দলের সংগঠন নিয়ে বিস্ফোরক আরও এক তৃণমূল নেতা। 'কারা দলে থেকে গদ্দারি করছে, সেটা জানি। কেউ কেউ বিরোধীদের থেকে টাকা নিয়ে মতলব আঁটছেন। লাভ হবে না, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলই সব আসন পাবে। বিরোধীরা নোটার থেকেও কম ভোট পাবে। কী ভাবে ভোট করতে হয় জানা আছে', কঙ্কালীতলার সভা থেকে মন্তব্য বীরভূম তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখের।


এর আগেও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কাজল শেখ। সম্প্রতি অনুব্রত প্রসঙ্গ নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি।  'সংগঠনের কোনও পরিবর্তন হবে না। বীরভূম জেলায় যে কোর কমিটি আছে, সেই কোর কমিটিই থাকবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলেছিলেন, তিনিই বীরভূম জেলার অবজার্ভার। অনুব্রতর চলে যাওয়া এক বিন্দুও প্রভাব পড়বে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস চলে। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া অন্য কোনও দল থাকবে না।' দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া কাজল শেখের।  অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে মঙ্গলবারই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন ইডি-র আধিকারিকরা। বর্তমানে দেশের রাজধানীতে ইডির হেফাজতে রয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। আর বীরভূমে দলের একসময়ের হত্তা-কর্তা-বিধাতা দিল্লি পাড়ি দেওয়ার পরদিনই ফের বিস্ফোরক তৃণমূলের জেলার কোর কমিটির সদস্য ও অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত কাজল শেখ।তাঁর দাবি, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার বিন্দুমাত্র প্রভাবও পড়বে না দলে।


বিস্ফোরক অর্জুনও:
এদিন বোমা ফাটালেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদানকারী ব্য়ারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। বাম-কংগ্রেস লাগাতার বিজেপি-তৃণমূল গটআপ গেমের অভিযোগে সরব হচ্ছে! আর তাদের সেই অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে ধরেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন অর্জুন সিং। সেইসঙ্গে বাম সরকারের শেষের প্রসঙ্গ টেনেও, কার্যত খোঁচা দিলেন দলীয় নেতৃত্বকে। অর্জুন সিংহ বলেন, 'বিরোধীরা প্রচারে এগিয়ে আছে। আমরা এগিয়ে আছি কোথায়? রফিকের পা কীভাবে কাটব, হাজি নুরুলের পা-টা কীভাবে কাটব, বাবলুকে কীভাবে কোণঠাসা করব, সারাদিন এর মধ্যে লেগে আছে। আর বিরোধী কী প্রচার করছে, বাবুল সুপ্রিয় বিজেপিরও মিনিস্টার ছিল, আর এখানেও মিনিস্টার আছেন। দিদিমণি একটা গটআপ করে নিয়েছেন। এভাবেই এখন বিরোধীদের প্রচার চলছে তলেতলে। আমরা কিছু বলতে পারছি? কিছু বলতে পারছি না!'


আরও পড়ুন: জনসংযোগ যাত্রায় বিক্ষোভের মুখে বিধায়ক, পাল্টা প্রতিবাদে থানা অবরোধ দলীয় কর্মী-সমর্থকদের