তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: বিধায়ককে (BJP MLA) ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের (Villagers Agitation)। গত কাল ইন্দাস থানার (Indas Police Station) শ্রীকড়া গ্রামে জনসংযোগ যাত্রার যান স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক নির্মলকুমার ধারা। সেখানেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।

  


কী ঘটেছিল?
বিধায়কের দাবি, বিক্ষোভকারীরা সকলেই তৃণমূল কর্মী। যদিও তৃণমূল সব ঘটনার কথাই অস্বীকার করেছিল। গোটা প্রতিবাদে সোমবার বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিল্লেশ্বর সিংহের নেতৃত্বে বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে ইন্দাস থানা ঘেরাও করা হয়। সেখানে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি পথও অবরোধ করেন বিজেপি নেতৃত্ব এবং কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের দাবি, পুলিশ জোর করে অবরোধ তুলতে গিয়েছিল। তখনই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব এবং কর্মীদের তুমুল ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। পরে অবশ্য বিজেপি কর্মীরা অবরোধ তুলে নেন। 


বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল সাংসদও...
শুধু বিজেপি নন,অতীতে একাধিকবার বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তৃণমূল বিধায়ক-সাংসদরা। গত জানুয়ারিতেই যেমন দিরামপুরহাটে মেলেরডাঙা গ্রামে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। বিক্ষোভের জেরে মেলেরডাঙা থেকে রামপুরহাটে রাস্তা বেহাল। প্রতিশ্রুতি দিলেও রাস্তা মেরামত হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর বিষ্ণুপুরে গিয়েও স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ। আবাস তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। 


শুরু নতুন কর্মসূচি: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি 'দিদির সুরক্ষাকবচ' ও 'দিদির দূত' নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছে শাসকদল। উদ্দেশ্য, ভোটের রাজনীতি না করে মানুষের পাশে থাকবে দল, বার্তা তৃণমূলের। যদিও শাসকদলের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি ও বামেরা। 


দফায় দফায় উত্তেজনা: তবে এই কর্মসূচি ঘিরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পর পর দু'দিন, পূর্ব মেদিনীপুরে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে গিয়ে দলেরই নেতার ক্ষোভের মুখে পড়েন কুণাল ঘোষ। রাস্তাঘাট-সহ এলাকার উন্নয়ন না হওয়ার বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের কাছে নালিশ জানান তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি। যদিও ঘটনায় দলেরই কটাক্ষের মুখে পড়েন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা। কাজ না করায় ঘাড়ধাক্কা খাচ্ছেন দিদির দূতরা, ঘটনায় একযোগে কটাক্ষ করেছে বিজেপি ও সিপিএম। 


বিক্ষোভের মুখে কুণাল: দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে প্রথম দিনেই পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের পরিবারের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন কুণাল ঘোষ। এদিন পশ্চিম পাঁশকুড়ার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক প্রয়াত ওমর আলির বাড়িতে যান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। কুণালের সামনেই দলের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের ছেলে শেখ মুসলেম আলি। কোন্দল না মেটালে দলকে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। একইসঙ্গে দলের পুরনো কর্মীরা এখন ব্রাত্য বলে দাবি করেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের ছেলে। এই ঘটনায় স্পষ্টতই অস্বস্তিতে তৃণমূল। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন কুণাল ঘোষ। 


আরও পড়ুন:'কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে CRPF মোতায়েনে সমস্যা রয়েছে', আদালতে জানাল কেন্দ্র