আবীর ইসলাম, বীরভূম: হস্টেল খোলার দাবিতে বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati) বিক্ষোভ চলছেই। তিন দিন ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা নিজের নিজের দফতরেই রয়েছেন রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়াল এবং ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ। গতকাল রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন রেজিস্ট্রার। চিকিৎসকরা এসে পরীক্ষা করেন তাঁকে। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের রেজিস্ট্রারের অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা।
গত সোমবার সকাল ৯টা থেকে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয় বিশ্বভারতীতে(Demand of reopening Hostel)। তার পর থেকে তিন দিন কেটে গেলেও নিজেদের দাবি-দাওয়াতে অনড় পড়ুয়ারা। ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষের দাবি, তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নাটক করছেন বলে পাল্টা দাবি করছেন পড়ুয়ারা। তবে বিক্ষোভ যেমন চলছে, তার পাশাপাশি বিশ্বভারতীতে পঠনপাঠনও শুরু হয়েছে।
তবে এ দিন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে দু’পক্ষের মধ্যেই চরম টানাপোড়েন লক্ষ্য করা যায়। এক দিকে পড়ুয়ারা যখন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ধ্বনি তোলেন, সেই সময় আটক অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে কার্যত পড়ুয়াদের পায়ে ধরতে যান রেজিস্ট্রার। পাল্টা তাঁর পায়ে ধরে হস্টেল খোলার দাবি জানাতে যান পড়ুয়ারা। সেই নিয়ে বেশ খানিক ক্ষণ পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থবিরোধী উপাচার্যের উদ্দেশে 'গো ব্যাক' ধ্বনিও ওঠে।
বিশ্বভারতীর এই ঝামেলা ইতিমধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টে পৌঁছেছে। সেখানে বিচারপতি রাজশেশৃখর মান্থার জানান, আন্দোলন করা গণতান্ত্রিক অধিকার। এ ব্যাপারে আদালত কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আধিকারিকের যাতায়াতের পথ অবরুদ্ধ করা যাবে না। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আদালতে পুড়য়াদের যাবতীয় দাবি-দাওয়া হলফনামার আকারে জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন নির্দেশ বিচারপতি মান্থার।
স্কুল-কলেজ চালু হয়ে গিয়েছে সর্বত্র। শিথিল হয়ে গিয়েছে কোভিড বিধিও (COVID Restrictions)। অথচ বিশ্বভারতীর হস্টেল বন্ধ এখনও। তা নিয়েই ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তাল বিশ্বভারতী। বিগত তিন দিন ধরে লাগাতার চলছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। অবিলম্বে হস্টেল খুলে দিতে হবে বলে দাবি জানাচ্ছেন পড়ুয়ারা।