ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও এরশাদ আলম, বীরভূম: ফের মধ্যযুগীয় কুসংস্কারের ছায়া! বীরভূমের সাঁইথিয়ায় ডাইনি অপবাদে এক দম্পতিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। প্রমাণ লোপাটের জন্য পাশের গ্রামের শ্মশানে গিয়ে দেহ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা। অভিযুক্তদের ঘিরে বিক্ষোভ গ্রমবাসীদের। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মৃতদের গ্রামের মোড়লকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


ডাইনি অপবাদে দম্পতিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ: একুশ শতকেও কুসংস্কারের গাঢ় অন্ধকার। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা কুসংস্কারের হাঁড়িকাঠে ফের বলি জোড়া নিরপরাধ প্রাণ। ডাইনি অপবাদে দম্পতিকে পিটিয়ে খুন করে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ। গ্রামের বাসিন্দাদের প্রতিবাদের মুখে ভেস্তে গেল পরিকল্পনা। অন্ধ বিশ্বাসের থাবা বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার নওয়াপাড়ায়। ঘটনার সূত্রপাত মাসখানেক আগে। অভিযোগ, গ্রামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য ওই দম্পতিকে দায়ী করে ডাইনি অপবাদ দেন মোড়ল ও তাঁর সঙ্গীরা। শুক্রবার দম্পতির বাড়িতে চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর জখম দম্পতিকে ভর্তি করা হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। শনিবার দু'জনেরই মৃত্যু হয়।

এরপর, মৃতদের পরিবারকে কিছু না জানিয়ে গ্রামের মোড়ল ও তাঁর লোকজন দেহগুলি নিয়ে যান পাশের বেনেডাঙা গ্রামের শ্মশানে। দেহ সৎকারে পরিবারের কেউ না থাকায় সন্দেহ হয় ওই গ্রামের বাসিন্দাদের। মোড়লকে আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় সাঁইথিয়া থানায়। কিন্তু একুশ শতকের মাটিতে দাঁড়িয়েও কেন এই কুসংস্কারের অন্ধকার? কবে কাটবে এই অন্ধ বিশ্বাসের মেঘ? আর কত দিন লাগবে মধ্যযুগীয় এই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি হতে?  সাঁইথিয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে,এই ঘটনায় মোড়লসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বাকি অভিযুক্তরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সাঁইথিয়ার বিডিও কৌশিক চৌধুরী জানিয়েছেন, ২১ শতকে এই ধরনের কুসংস্কার মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের কঠোর শাস্তি হবে। পাশাপাশি, গ্রামগুলিতে সচেতনতা বাড়াতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী। গতকাল সকালে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় স্ত্রীর গলা কাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জ থানার কুটির পাড়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ১২ বছর আগে এলাকারই যুবক জয়ন্ত সর্দারের সঙ্গে বিয়ে হয় দিপালী সর্দারের। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। আর সেই কারণে স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতে শুরু করেন। মাঝেমধ্যে এসে জয়ন্ত তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেন। শুক্রবারও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়। অভিযোগ, স্ত্রীকে মারধর করেন জয়ন্ত। এদিন ধানের জমির মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় কৃষ্ণগঞ্জ থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অন্যদিকে মাজদিয়া স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে স্বামী জয়ন্তর মৃতদেহ উদ্ধার করে রেল লাইনের ওপর থেকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান স্ত্রীকে খুন করার পর স্বামী রেলের লাইনে গলা দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ।    


আরও পড়ুন: Hiran Attack Dev: 'ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ বড় দুর্নীতিতে জড়িত' হিরণের নিশানায় দেব