গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: সাত সকালে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন রোগীর বাড়ির লোকজন। তাঁদের অভিযোগ ভুল চিকিৎসা করা হয়েছে। এবং এই ভুল চিকিৎসার মাশুল গুনতে হল রোগীর প্রাণ দিয়ে।


ভুল চিকিৎসার জেরে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ তুলে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁর আত্মীয়রা। পরিবার সূত্রে খবর, বর্ধমান জেলার রাজুর গ্রামের বাসিন্দা আগমনী হাজরা সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল নানুর থানার সাওতা গ্রামের সুজয় হাজরার, সাত বছর আগে। তাঁদের ৬ বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। গত চার তারিখে ফের গর্ভবতী অবস্থায় আগমনী হাজরাকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


এই হাসপাতালেই দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেন নানুরের বাসিন্দা আগমনী হাজরা। গতকাল, অর্থাৎ শনিবারই সদ্যোজাত পুত্র সন্তান নিয়ে বাড়িও চলে যান তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, বাড়ি ফিরেই পেটে অসহ্য ব্যথা ও রক্তক্ষরণ শুরু হয় আগমনী হাজরার। তখন তাঁকে ফের নিয়ে এসে ভর্তি করা হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। এরপর আজ অর্থাৎ রবিবার সকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই প্রসূতির। সেই খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে রোগীর পরিবাররা। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সামনে রোগীর পরিজনরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরিবারের পরিষ্কার অভিযোগ, ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার জন্যই তাদের রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, ঠিকঠাক করে চিকিৎসা হয়নি, ফলে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তাতে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। ডাক্তারের সঙ্গে তাঁরা কথা বলতে চাইলে তা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ। আগমনী হাজরার স্বামীর বক্তব্য, সন্তান প্রসবের পর সেই স্থানে ঠিকঠাক সেলাই করা হয়নি ফলে প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালের বিরুদ্ধে তাঁরা চরম দুর্ব্যবহারের অভিযোগও এনেছেন। 


বিক্ষোভের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


আরও পড়ুন: Bankura: ডিম্বাশয়ে ৮ কেজিরও বেশি ওজনের টিউমার, সফল অস্ত্রোপচারে সুস্থ বাঁকুড়ার কিশোরী