পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: প্রতিদিনই চিকিৎসাবিজ্ঞনে কত কীই না আশ্চর্য ঘটনা ঘটে। কত কঠিন কঠিন রোগের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে নিষ্পত্তি দেন চিকিৎসকেরা। তেমনই এক ঘটনা ঘটল বাঁকুড়ার সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। 


এক কিশোরীর বয়স মাত্র ষোলো। কিন্তু এই বয়সেই যে শরীরে কী রোগ দানা বাঁধছিল তাঁর শুনলে হকচকিয়ে উঠবেন। ষোলো বছর বয়সী ওই কিশোরীর ডিম্বাশয়ে বেড়ে উঠছিল একটি বিশাল টিউমার। চিকিৎসকদের অবাক করে সেই টিউমারের ওজন, আট কেজিরও বেশি। ঠিকই পড়ছেন। ডিম্বাশয়ে বেড়ে ওঠা টিউমারের ওজন আট কেজিরও বেশি। আর সেই টিউমারেরই সফল অস্ত্রোপচার করা হল। টিউমারটিকে কেটে বাদ দিলেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। রোগমুক্তি ঘটল ওই কিশোরীর।


গত ১ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, গঙ্গাজলঘাটি ব্লক এলাকার বছর ষোলোর ওই কিশোরী, প্রিয়া, পেট ফোলা অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর খাবারে অনিচ্ছা সহ একাধিক উপসর্গ ছিল।


এরপর রোগীর আসল রোগ নিরাময়ে একাধিক রকমের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। সব শেষে শুক্রবার ডাঃ প্রশান্ত ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক ওই কিশোরীর অস্ত্রোপচারের কাজে হাত লাগান। অস্ত্রোপচার করে তাঁর ডিম্বাশয় থেকে আট কেজির বেশি ওজনের একটি টিউমার শরীর থেকে বাদ দেন চিকিৎসকরা। সফল চিকিৎসকেরা, তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রাণে বাঁচলে বছর ষোলো এক কিশোরী।


বর্তমানে সুস্থ আছেন ওই কিশোরী। তবে এত বড় অস্ত্রোপচারের পর আরও বেশ কয়েক দিন চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে তাকে। তারপর তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।


একদিকে যেমন নিজেদের অক্লান্ত পরিশ্রমে কঠিন রোগমুক্তি ঘটাচ্ছেন চিকিৎসকেরা, তখন অন্য ছবি ধরা পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরে। চিকিৎসকই নেই, চিকিৎসা হবে কী করে! অগত্যা ডাক্তারের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রোগী ভর্তি। এই ইস্যুতেই এবার সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি খড়গপুরের চাঙ্গুয়াল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গোকুলপুর ও পপরআড়া, এই দুটি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।   


এখানে দীর্ঘদিন ধরে রোগী ভর্তি বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। কোনওক্রমে চলছে আউটডোর পরিষেবা। রোগী ভর্তি নিয়ে সমস্যার কথা মানলেও দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের জমানায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে।