মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আবির ইসলাম, বীরভূম: গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই সূত্রে দাবি, 41A ধারায় গরুপাচার মামলায় সরাসরি অভিযুক্ত করা হয়েছে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। এ প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

  


কী বলেছেন শুভেন্দু? 


গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,  "অনুব্রত মণ্ডল হল মাফিয়া। মমতার প্রশয়ে আশ্রয়ে রয়েছেন। যে কি না মুদির দোকান থেকে মাগুড় মাছ বিক্রি করতেন সে এখন এক হাজার কোটির মালিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টি এসব। আশা করব এই অনুব্রত মণ্ডলরা যে অত্যাচার করেছেন, ভোট পরবর্তী সময়ে অনেক খুনও হয়েছে এঁদের নিশানায়। মুড়ির টিনে যাঁদের যাঁদের টাকা পাঠিয়েছেন সেই নামগুলো বলবেন এবার এটাই আশা রাখি।"                                                                      


আরও পড়ুন, গ্রেফতার অনুব্রত, আজই তাঁকে তোলা হতে পারে আসানসোল আদালতে


তৎপর সিবিআই 


গতকাল হাজিরা এড়ানোর পর আজ সকালে আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে বোলপুরের নীচুপট্টিতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়ির সকলের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়।


সিবিআই সূত্রে খবর, এর আগে গতকাল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। আজ ওই চিকিত্সকের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত প্রভাব খাটিয়ে চিকিত্সককে দিয়ে প্রেসক্রিপশন লেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়। কার নির্দেশে ওই সরকারি চিকিত্সক বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাও জানতে চায় সিবিআই। খবর সূত্রের।                                       


গরুপাচার মামলায় ১০ বার অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। ৯ বার হাজিরা এড়াল তৃণমূল জেলা সভাপতি। অসুস্থতার কথা বলে গতকালও হাজিরা এড়ান অনুব্রত। গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন।