নান্টু পাল, বীরভূম: গতকাল বীরভূমে (Birbhum) মল্লারপুরে (Mallarpur) পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু (Death) হয় নয় জনের। মৃত দেহ গুলি রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Rampurhat Medical College) ময়না তদন্ত করে গ্রামে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কান্নায় ভেঙে পরেছেন মৃতের পরিবারের লোকজন। একই পরিবারে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। ৯ জন মৃতের মধ্যে এক জন নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী। মৃত স্কুল ছাত্রীর নাম মাকু হেমরম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাঠে ধান রোয়ার কাজ চলছিল। বেলাশেষে অটোতে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ন’জন। ঠিক সেই সময় রামপুরহাটের দিক থেকে সিউড়ি-র অভিমুখে ছুটে আসা দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে অটোটির। তাতে মুহূর্তের মধ্যে দুমড়ে মুচড়ে ছিটকে যায় অটোটি। তাতে বসে থাকা ন’জন যাত্রীই প্রাণ হারান।
মালদায় পথ দুর্ঘটনায় বেঘোরে মৃত্যু পিতা-পুত্রের
রাজ্যের অন্য প্রান্তে এদিন মালদা জেলার রতুয়ার বাহরালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃত ব্যক্তিদের শেখ তাহির (৬৪) এবং শেখ বরকত (৪২) নামে শনাক্ত করা গিয়েছে। আদতে বিহারের আমদাবাদ থানার অন্তর্গত গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। তাহিরের চিকিৎসার জন্য বেরিয়েছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে বাইকে চেপে বেরিয়েছিলেন তাহির এবং বরকত। তাহিরের চিকিৎসা করাতে মানিকচকের নুরপুরে যাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু বাহারাল থেকে রতুয়ার দিকে ধাবমান দ্রুতগতির একটি আইসক্রিম বহনকারী পিকআপ ভ্যান রাস্তায় তাঁদের বাইকে সজোরে ধাক্কা মারে। তাতে ছিটকে পড়েন দু’জনেই। ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় তাঁদের।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রাই পুলিশকে খবর দেন। তার পর দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রতুয়া থানার পুলিশ। মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাটানো হয়েছে। ঘাতক পিকআপ ভ্যানটিকে আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু দুর্ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা পিকআপ ভ্যানের চালক। তাঁর খোঁজ শুরু হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রাই পুলিশকে খবর দেন। তার পর দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রতুয়া থানার পুলিশ। মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাটানো হয়েছে। ঘাতক পিকআপ ভ্যানটিকে আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু দুর্ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা পিকআপ ভ্যানের চালক। তাঁর খোঁজ শুরু হয়েছে।