বীরভূম: রামপুরহাটকাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি অনুব্রত মণ্ডলের। এদিন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি দাবি করেন, ‘আনারুলকে আগেই পদ থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে ওঁকে রেখেছিলাম। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত ভোট পর্যন্ত আনারুলকে রাখতে বলেছিলেন’। 


এ প্রসঙ্গে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আপনারা দেখবেন চিঠিটা ১০.০৬.২০২১-এর। বিধানসভা নির্বাচনের মে মাসে রেজাল্ট বেরোয়। এই চিঠি আলাদা জায়গা থেকে আসেনি। আমার লেটারহেডেও দেয়নি। আমি সাদা কাগজে লিখে দিয়েছিলাম। তখন আমি অনুরোধ করেছিলাম যেন কোনও ব্লক সভাপতিকে বদল না করা হয়। তখন আনারুল হোসেনও ব্লক সভাপতি ছিলেন। এটা সভাতেই আলোচনা হয়েছিল। সবার সম্মতি ছিল। আলাদা করে কোথাও কিছু বলা হয়নি। তখন লিখিত দিতে বলেছিল তাই দিয়েছিলাম।" 


 



রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে হত্যাকাণ্ড। তৃণমূলের উপপ্রধান খুন, তারপর একের পর এক বাড়িতে আগুন, জীবন্ত পুড়িয়ে খুন, রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রামে পুলিশ ঢুকতে না দেওয়া...থেকে, একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রয়েছে। এই আনারুল হোসেনকে নিয়েই এবার চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। 



রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আর এই রিপোর্টের মধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের ছক রয়েছে বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, রামপুরহাটকাণ্ড বিজেপির বড় ষড়যন্ত্র। তদন্তের আগেই কীভাবে বিজেপি রিপোর্ট পেশ করল? এই রিপোর্টই প্রমাণ করে, নেপথ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের রিপোর্ট পেশ নিয়ে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। বিজেপির রিপোর্ট সিবিআই তদন্তকে দুর্বল করবে, প্রভাবিত করবে। এই ধরনের রিপোর্ট তদন্তকে ভুল পথে চালিত করবে। রিপোর্টে তৃণমূলের জেলা সভাপতির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বিজেপি চায় তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করা হোক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এই ধরনের রিপোর্ট। মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর।