শান্তিনিকেতন, সুকান্ত মুখোপাধ্যায় : গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) এবার সিবিআইয়ের মুখোমুখি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারি। শান্তিনিকেতনের পূর্ব পল্লির গেস্ট হাউসে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট্যান্টের সঙ্গে রয়েছেন তাঁর আইনজীবী। সিবিআই সূত্রে খবর, মণ্ডল পরিবারের নামে থাকা একাধিক কোম্পানির ব্যালান্স শিট এবং বিনিয়োগ নিয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হবে।
দীর্ঘদিন ধরে অনুব্রত মণ্ডলের হিসেবরক্ষক হিসেবে কাজ করছেন মণীশ কোঠারি। বোলপুরে তাঁর বাড়ি। শান্তিনিকেতনে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তিন সিবিআই আধিকারিক। এর পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের দুই কর্মীকেও ডাকা হয়েছে বেশ কিছু নথিপত্র নিয়ে। ওই ব্যাঙ্কে অনুব্রতর কত টাকা রয়েছে, কোনও লকার রয়েছে কি না তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের যাবতীয় ব্যাঙ্ক ডিটেল নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাঁকে ডাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন ; অনুব্রতকে বাবা বলে ডাকেন, বিপুল সম্পত্তি, সিবিআই নজরে এবার এই লোকটিও
এদিকে গরুপাচার মামলায় এবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) নামে দ্বিতীয় কোম্পানির হদিশ মিলেছে বলে খবর সূত্রের। সিবিআই (CBI) সূত্রে দাবি, নীড় ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই রিয়েল এস্টেট কোম্পানি তৈরি হয়েছিল ২০০৬ সালে। যার শেয়ার ক্যাপিটাল ছিল দেড় কোটি টাকা। ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের ঠিকানাতেই তৈরি হয় এই রিয়েল এস্টেট কোম্পানি।
২০০৬ সালে তৈরি হয় নীড় ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড -
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সংস্থার দুই ডিরেক্টর অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mandal) ও অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েন। বোলপুরের কালিকাপুরের হারাধন মণ্ডল রোডে একই ঠিকানায় কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে ভোলে ব্যোম রাইস মিলেরও। অর্থাৎ একই ঠিকানায় রয়েছে তিন-তিনটি কোম্পানি। পেশায় স্কুলশিক্ষিকা অনুব্রত-কন্যার নামে এত সম্পত্তি কীভাবে হল, সেটাই জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ, বোলপুর পুরসভার কর্মী বিদ্যুৎবরণ গায়েনও।
সিবিআই সূত্রে দাবি, সুকন্যার নামে বোলপুরে কেনা হয়েছে জমি, চালকল-সহ একাধিক সম্পত্তি। বেনামে কোম্পানিও খোলা হয়েছে। যার শেয়ার ভ্যালু কোটি টাকা। অথচ অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। তাঁর নামে এত সম্পত্তি কীভাবে হল, সেটাই জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।