বোলপুর: এবার কি নির্দল হয়েই ভোটে লড়ার ভাবনা 'বিদ্রোহী' অনুপমের (Anupam Hazra As Independent Candidate)? 'দল টিকিট না দিলেও বোলপুর লোকসভা (Bolpur Lok Sabha Constituency) থেকেই লড়ব। ভোটে দাঁড়ানোর জন্য দলের দরকার হয় না', নাম না করে ফের বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে আক্রমণ পদ-হারা অনুপম হাজরার। আরও বললেন, 'দলের কেউ কেউ পার্টি ফান্ডকে নিজের ফিক্সড ডিপোজিট করতে ভোটে দাঁড়ান। বছরের পর বছর ভোটে দাঁড়ায়, হেরেও যায়, কিন্তু বুথ স্তরের কর্মীরা মার খেয়েও পাওনা পান না।' ফের বিস্ফোরক দাবি অনুপমের। 



প্রেক্ষাপট...
এর আগেও বার বার 'বেসুরো' শুনিয়েছে অনুপমকে। বঙ্গ বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরোতে দ্বিধা করেননি তিনি। কখনও আবার পরোক্ষে কটাক্ষও করেন বলে অভিযোগ। যেমন ডিওয়াইএফআইয়ের ব্রিগেডের পর। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে, ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেড সমাবেশের ড্রোন শটের একটি ছবি পোস্ট করে, অনুপম লিখেছিলেন, না ক্ষমতায় কেন্দ্রে, না ক্ষমতায় রাজ্যে....শেষ কবে ক্ষমতায় ছিল, তাও হয়তো অনেকে ভুলে গেছে। না ছিল প্রধানমন্ত্রীর ছবি, না ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ছবি, তবুও দেখি প্রচারের চাকচিক্য, তাম-ঝাম ছাড়াই -  লোকসভা নির্বাচনের মাত্র দু মাস আগে ব্রিগেড 'লালে লাল'। বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বলেন, 'সিপিএম কবে লাস্ট ক্ষমতায় ছিল, আমরা ভুলে গেছি। না কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছে, না রাজ্যে ক্ষমতায় আছে। তা সত্বেও যেভাবে মানুষ  ব্রিগেডে জমায়েত হয়েছিল, সেটা অবাক করার মতো। মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী কারও ছবি ছিল না।'  ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপি যখন একের পর এক ভিনরাজ্যের নেতা, মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে এসে প্রচারে ঝড় তুলেছিল, তার পাল্টা বাংলা তার ঘরের মেয়েকেই চায় - এই ন্যারেটিভ সামনে রেখে সুফল ঘরে তোলে তৃণমূল। কার্যত সে কথাই মনে করিয়েই, বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক পদ থেকে বাদ পড়া অনুপম হাজরা লেখেন,'আমাদের চারদিকে ভূত কমিটির ঘনঘটা। মনে রাখতে হবে, বাঙালি খুব সংবেদনশীল জাতি। আত্মতুষ্টিতে না ভুগে, বাংলার মানুষের মন পড়তে পারাটা খুব দরকার।' বলেন,'কিছু বছর আগে সিপিএমকে ধর্তব্যের মধ্যেই রাখতাম না! এই যে জমায়েত সিপিএমের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে। ব্রিগেডের সমাবেশে এত মানুষের আশা, ক্ষতিটা কার করবে, আমাদের না তৃণমূলের? '
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরেই লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে ৩৫ আসন জয়ের লক্ষ্য পূরণে  ১৫ জনের ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম তৈরি করে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা । সেই টিমে রাখা হয় দিলীপ ঘোষের মতো পুরনো নেতাকে! অন্য দিকে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অনুপম হাজরাকে। তার পর, চলতি মাসের মাঝামাঝিই তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল,  '২০১৯ সালে বিজেপির অসময়ে এসেছিলাম। নারদ-সারদায় নাম নেই। ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচতে বিজেপিতে আসিনি। একজন অধ্যাপকের সঙ্গে আর পাঁচটা চোর-চিটিংবাজ রাজনীতিকের ফারাক আছে।' এবার একেবারে নির্দল প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত।   


আরও পড়ুন:হঠাৎ চড়ল পারদ, একধাক্কায় কতটা বাড়ল বীরভূমের তাপমাত্রা?