আবীর ইসলাম, বীরভূম: প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত হলেন বিশ্বভারতীর (viswa bharati) রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়াল ও ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ। যদিও হস্টেল খোলা-সহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে অনড় পড়ুয়ারা। রেজিস্ট্রারের দফতরের বাইরে এখনও চলছে বিক্ষোভ। আজ সকালে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে উদ্যোগী হয় অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের সংগঠন। আলোচনার পর ঘেরাওমুক্ত হন রেজিস্ট্রার ও ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক। হস্টেল খোলা সহ তিন দফা দাবিতে গতকাল বেলা ১২টা থেকে বিশ্বভারতীতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের দেওয়া একটি ভিডিয়োতে দেখা যায়, আজ ভোরে হামাগুড়ি দিয়ে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন রেজিস্ট্রার। শুয়ে পড়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়েন পড়ুয়ারা। রেজিস্ট্রার দাবি করেন, শিবরাত্রি উপলক্ষে ধর্মীয় রীতি পালনে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে আটকানো হয়। পাল্টা বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, রেজিস্ট্রার নিজেই নাটক করে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। তবে শেষ পর্যন্ত ঘেরাওমুক্ত হলেন রেজিস্ট্রার।
গতকালই, হস্টেল খোলা-সহ তিন দফা দাবিতে ফের ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল বিশ্বভারতী। মিছিল করেন পড়ুয়ারা। পাঠভবন চত্বরে গেট টপকে তাঁরা ভিতরে ঢুকলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। সেই সময় পাঠভবনে যে সব ক্লাস চলছিল, তা বন্ধ করে দেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু দফতরে।
সেখান থেকে এরপর পড়ুয়ারা মিছিল করে সঙ্গীত ভবনে আসেন। সেখানেও গেট টপকে তাঁরা ভিতরে ঢুকে পড়েন। যাঁর ক্লাস করছিলেন, তাঁদের বের করে দেওয়া হয়। এর পর শিক্ষাভবনে এসে একের পর এক দফতরে তালা লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। রেজিস্ট্রারের অফিসে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঘেরাও ছিলেন রেজিস্ট্রার। উল্লেখ্য, দীর্ঘক্ষন বিক্ষোভের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক ছাত্রী। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিশ্বভারতীর হাসপাতলে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্য়েই বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন।